শুক্রবার (২৬ মে) দুপুরে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজুর রহমানের এক আদেশে তাদের জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করেন।
এরা হলেন- হরিরামপুর থানার কম্পিউটার অপারেটর রবিউল ইসলাম রাসেল (২৯) ও ওয়্যারলেস অপারেটর জুয়েল রানা (৩০)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৫ মে) মধ্যরাতে উপজেলার চালা ইউনিয়নের ইজদিয়া যাত্রা গ্রামের সাদা পোশাকে প্রবেশ করে রবিউল ও জুয়েল। তাদের আচারণ সন্দেহজনক হলে পরিচয় জানতে চায় স্থানীয় মহিউদ্দিন কমল আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী হাশেম প্রধান। এসময় তারা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দেন এবং গ্রামের জনৈক এক ব্যক্তির বাড়ি যাওয়া কথা বলে চলে যান।
পুলিশ আরও জানায়, মাঝে মধ্যেই মধ্য রাতে ওই বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন তারা। কিছু বললেই নানা ভাবে হুমকি দিতেন নৈশ প্রহরী হাশেম প্রধানকে।
বিষয়টি তাৎক্ষণিক নৈশপ্রহরী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলজার আহমেদ বাচ্চুকে মোবাইল ফোনে জানায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলজার আহমেদ বাচ্চু বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নৈশ প্রহরী হাশেম প্রধান ফোনে বিষয়টি জানায়। পরে এলাকাবাসীদের সঙ্গে নিয়ে খোঁজা-খুঁজির পর ওই জনৈক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি করা হয়। এ সময় ওই বাড়ির একটি ঘর থেকে রবিউলকে হাতে-নাতে ও পালানোর সময় জুয়েল রানাকে আটক করে থানার খবর দেওয়া হয়।
পরে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান ঘটনাস্থলে এসে ওই দু’জনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের এসপি মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৭
এসআরএস/এসএইচ