ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পর্যটন শিল্পে ব্যাপক সম্ভাবনা বঙ্গবন্ধু দ্বীপে

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩১ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৭
পর্যটন শিল্পে ব্যাপক সম্ভাবনা বঙ্গবন্ধু দ্বীপে ঢাবির গবেষণা দলের সংবাদ সম্মেলন/ছবি: কাশেম হারুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: নতুনরুপে আবিষ্কৃত বঙ্গবন্ধু দ্বীপে পর্যটন শিল্পের ব্যাপক সম্ভবনা দেখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গবষেকরা। সম্ভবনাময় এ দ্বীপকে মাস্টার প্ল্যানের আওতায় এনে ইকো-ট্যুরিজমের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখা যেতে পারে বলে মত ‍দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকরা।

শুক্রবার (২৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল মতিন চৌধুরী মাল্টিমিডিয়া কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

ঢাবির কোস্টাল রিসার্চ ইউনিটের অধীনে ২৮ সদস্যের একটি গবেষক দল ১১ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু দ্বীপ নিয়ে গবেষণা করে এ সম্ভবনার কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, গবেষণা দলের সদস্য প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নিয়ামুল নাসের, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার এবং গবেষণার আর্থিক সহযোগী অ্যাম্বিয়েন্ট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিদ্যা বরণ (শিমুল)।

গবেষক দলের প্রধান ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, সুন্দরবনের দুবলার চর ‍উপকূল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের নতুন এ দ্বীপের আশেপাশের আরও বেশ কয়েকটি পরিচিত ট্যুরিস্ট স্পট রয়েছে, যার মধ্যে কটকা এবং দুবলার চর অন্যতম। তবে, এ স্থানগুলোর ‍তুলনায় বঙ্গবন্ধু দ্বীপে ট্যুরিজম বিকাশের সম্ভাবনা বহুগুণ বেশি। সম্ভাবনাময় সৈকতকে একটি মাস্টার প্ল্যানের আওতায় এনে এ অঞ্চলে ইকো-ট্যুরিজম বিকাশের কার্যকর ভূমিকা নেওয়া যেতে পারে।

বর্তমানে দ্বীপটির আয়তন ৭ দশমিক ৮৪ বর্গকিলোমিটার এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২ মিটার উঁচু। দ্বীপটির চারিদিকে গড়ে উঠেছে প্রায় ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৫০০ মিটার প্রশস্ত সি বিচ।

দ্বীপের নামকরণ নিয়ে অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম বলেন, ১৯৯২ সালে মালেক ফরাজি নামে একজন মৎস শিকারি ও তার দুই সঙ্গী প্রথম এ দ্বীপে অবতরণ করেছিলেন। তারা দু’জনে বঙ্গবন্ধুর ভক্ত ছিলেন। তারা এর নাম বঙ্গবন্ধু দ্বীপ হিসেবে নামকরণ করেন। আমরা এর প্রথম সন্ধান পায় ফেসবুকের মাধ্যমে। পরবর্তীতে আমরা গবেষণা চালাই।

অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু দ্বীপে গবেষণালব্ধ ফলাফল বাংলাদেশের সমুদ্র সম্পদ, উপকূলীয় অঞ্চলের সম্পদ ব্যবহার, সমুদ্রকেন্দ্রিক অর্থনীতি এবং পর্যটন নিয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কার্যক্রমের সম্ভাবনা সৃষ্টি হলে তা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৭
এসকেবি/ওএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।