ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাওদার মোবাইলফোনের এসএমএস’র তদন্ত দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৯ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৭
রাওদার মোবাইলফোনের এসএমএস’র তদন্ত দাবি রাজশাহী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন রওদার বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফ

রাজশাহী: মেডিকেল কলেজ ছাত্রী রওদার মোবাইলফোনে তার মৃত্যুর দিন ভোরে একটি বার্তা এসেছিলো। বার্তায় লেখা ছিলো- ‘তুমি বেহশতের ফুল হয়ে যাবে’। এই তথ্যটি এখন তদন্তকারী সংস্থার হাতে।

এর সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে রাজশাহী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তার বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফ দাবি করেন, মৃত্যুর দিন কে তার মেয়ের মোবাইলফোনে এই এসএমএসটি কে  পাঠিয়েছিলো তা তদন্ত করে দেখা হোক। ডা. আতিফের মতে এর মধ্যে দিয়ে তার মেয়েকে পরোক্ষভাবে হত্যারই হুমকি দেওয়া হয়েছিলো।

লিখিত বক্তব্যে রওদার বাবা বলেন, রাজশাহীর একটি রেস্তরাঁয় রাওদার সঙ্গে এক যুবকের ঝগড়া হয়েছিলো হত্যাকাণ্ডের ঠিক কয়েক দিন আগেই। রেস্তরাঁর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করলেই সেই যুবক কে ছিলো তা জানা যাবে। সেই যুবককে আটক করা গেলে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।

ডা. মোহাম্মদ আতিফ বলেন, পাসওয়ার্ড ছাড়া আইফোনে প্রবেশ করা সম্ভব নয়। কিন্তু কে বা কারা রাওদার আইফোনে তার মৃত্যুর পর প্রবেশ করে এবং সেখান থেকে রাওদার বান্ধবী সিরাত পারভিন ও বন্ধু মহসিনের নাম মুছে ফেলে দেয়। তাহলে এতো নাম থাকতে মহসিন ও সিরাতের নামই বা কেনো মুছে ফেলা হলো এবং কে এই কাজটি করলো মামলার তদন্ত স্বার্থে তাও দ্রুত খুঁজে বের করা প্রয়োজন।

এ সময় তিনি আবারও দাবি করেন, তার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত হলে তার এই দাবির সত্যতা পাওয়া যাবে বলেও তার দৃঢ় বিশ্বাস। তাই সময় নষ্ট না করে বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়ার দাবি জানান ডা. আতিফ।

সংবাদ সম্মেলনে রাওদার বাবা ছাড়াও তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামরুল মনির উপস্থিত ছিলেন। তিনিও এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

এর আগে গত ২৯ মার্চ রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হোস্টেলের ২০৯ নম্বর কক্ষ থেকে রাওদার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন রাতে নগরীর শাহ মখদুম থানায় কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে।

পরে রাওদার আতিফের বাবা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের ভিত্তিতে দাফনের ২৩ দিন পর পুনঃতদন্তের জন্য গত ২৪ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মহানগরীর হেতেম খাঁ গোরস্থান থেকে তার মরদেহে উত্তোলন করা হয়। তার রিপোর্ট এখনও আসেনি।

বর্তমানে রাওদার মৃত্যুর ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের করা আত্মহত্যা ও তার বাবার করা হত্যা মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এরই মধ্যে তারা এই মামলায় কলেজ কর্তৃপক্ষ, শিক্ষার্থী ও তার সহপাঠী এবং হলের অন্যান্য আবাসিক শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে সিআইডি।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৭
এসএস/জিপি/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad