বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের দ্বিগ্রাম সুরুতপুকুর গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মর্গে পাঠায় পুলিশ।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি বাংলানিউজকে জানান, নিহত নারীর স্বামী রাজশাহী শহরে রিকশা চালান এবং সেখানেই থাকেন। তার একমাত্র ছেলে ঢাকায় নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন। আর তার তিন মেয়েরই বিয়ে হয়ে গেছে। গত এক মাস ধরে বাড়িতে একাই থাকতেন ফুলেরা বেগম। সকাল থেকে তার কোনো খোঁজ মিলছিল না।
সন্ধ্যায় বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পুলিশকে জানান। পুলিশ তখন ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি শুরু করেন। এক পর্যায়ে তার বিছানায় রক্তের দাগ পাওয়া যায়। এরপর বাড়ির আশপাশে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। পরে বাড়ির পেছনে একটি টয়লেটের ভেতর বস্তাবন্দি অবস্থায় ফুলেরার মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
তিনি বলেন, নিহত নারীর মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দেশীয় কোনো অস্ত্রের আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে। দুর্বৃত্তরা মরদেহটি গুম করতে কাঁচা টয়লেটের ওপরের স্লাব (প্যান) সরিয়ে গর্তের ভেতর মরদেহটি ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু খুঁজতে গিয়ে গন্ধ পেয়ে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি বস্তাবন্দি ছিল এবং তার মুখ বাঁধা ছিল।
এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। তবে জড়িতদের খুঁজে বের করতে এরই মধ্যে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এছাড়া ময়নাতদন্তের জন্য নিহত নারীর মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় মামলা হবে বলেও জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭
এসএস/জিপি/এমজেএফ