বৃহস্পতিবার ( ২৫ মে) সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড.মইনুল খান।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, গত ১৪-১৫ মে আপন জুয়েলার্সের ৫টি শাখা থেকে প্রায় সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণ ও ৪২৭ গ্রাম ডায়মন্ড ব্যাখ্যাহীনভাবে মজুত রাখার দায়ে সাময়িকভাবে জব্দ করা হয়।
মইনুল আরও বলেন, কিন্তু বৃহস্পতিবার (২৫ মে) ৫টি শাখায় শুল্ক গোয়েন্দা,স্বর্ণ সমিতির নেতা আপন জুয়েলার্সের মালিকপক্ষের উপস্থিতিতে শাখাগুলো থেকে গ্রাহকের কাগজপত্র নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ গ্রাহকের রিপিয়ারকৃত স্বর্ণ আগামী সোমবার ( ২৯ মে) সকাল ১০টায় আপন জুয়েলার্সের শাখাগুলোতে ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু স্বর্ণ ফেরত নিতে হলে অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ড বা পাসপোর্ট সঙ্গে থাকতে হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার শুল্ক গোয়েন্দা ৫টি শাখার মধ্যে মৌচাক শাখাতে ৪৮২.২৯ গ্রাম, গ্রাহকের সংখ্যা ২২জন, সুবাস্তু ইমাম স্কয়ার শাখা থেকে ৭৩৪.৭৭ গ্রাম, গ্রাহকের সংখ্যা ৩০ জন, সীমান্ত স্কয়ার শাখা থেকে ১হাজার দশমিক ১৯ গ্রাম, গ্রাহকের সংখ্যা ৬৪জন, উত্তরা শাখা থেকে ৫৭৭.১৭ গ্রাম, গ্রাহকের সংখ্যা ২৮জন ও গুলশান ডিসিসি মার্কেট শাখা থেকে ৬২৮.৪৯ গ্রাম, গ্রাহকের সংখ্যা ৩৮জন। আপন জুয়েলার্সের পক্ষ থেকে এপর্যন্ত মোট ১৮২ জনের পক্ষে প্রায় ৩.৫ কেজি ফেরতযোগ্য অক্ষত স্বর্ণের হিসাব পাওয়া গেছে।
এছাড়া একইসাথে আটক স্বর্ণের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিলদার আহমেদসহ মালিকপক্ষদের আগামী ৩০ মে বুধবার সকাল ১১ টায় কাগজপত্রসহ হাজির হওয়ার জন্য পুনরায় তলব করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, প্রথমবার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার বলেন, আমরা কোনো অবৈধ স্বর্ণের ব্যবসা করি না। দীর্ঘ ৪০টি বছর ধরে সততা ও সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছি। আমাদের দোকানে অবৈধ কোনো স্বর্ণ বা ডায়মন্ড নেই। এছাড়া আমাদের সব কিছুরই বৈধ কাগজপত্র আছে, সেগুলো জমা দেয়াটা এখন সময়ের ব্যাপার। অন্যরা যেভাবে ব্যবসা করছে, আমরাও একইভাবে ব্যবসা করছি। সুতরাং আপন জুয়েলার্স বন্ধ করতে হলে দেশের সব জুয়েলার্স বন্ধ করতে হবে বলেও দিলদার জানান।
অপরদিকে আপন জুয়েলার্সের স্বর্ণ জব্দ করায় ১৮মে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাজুস সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয়। কিন্তু ঘন্টা তিনেক না যেতেই সেই ধর্মঘট আবার তুলে নেয় সংগঠনটি।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৮ঘণ্টা,মে ২৫,২০১৭/আপডেট
এসজে/জেএম