ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

মসজিদের চেহারায় খাবার হোটেল, বিভ্রান্তিতে মুসল্লি 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৭ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭
মসজিদের চেহারায় খাবার হোটেল, বিভ্রান্তিতে মুসল্লি  রমজান উপলক্ষে নতুন সাজে দিলশাদ মিষ্টান্ন ভান্ডার-ছবি-বাংলানিউজ

দিনাজপুর: দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামের কৃষক মো. মতিয়ার রহমান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। 

বুধবার (২৪ মে) দুপুরে দিনাজপুর শহরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে আসেন। এরইমধ্যে আছরের আযান দিলে নামাজ আদায় করতে মসজিদের সন্ধান করেন।

 

কাউকে জিজ্ঞাসা করার আগেই তার নজর পড়ে কয়েকটি মিনার-গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ। নামাজ আদায় করতে মতিয়ার মসজিদের দিকে এগিয়ে যান। ঠিক মসজিদের সম্মুখে পৌঁছে তার ভুল ভাঙে। এটা আসলে মসজিদ নয়, খাবারের হোটেল। আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে এভাবেই বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে হোটেলকে।  

মতিয়ার বাংলানিউজকে বলেন, প্রথম দিনাজপুর শহরে এসেছি। এর আগে কখনও আসিনি তাই হয়তো এমন ভুল হয়েছে। কিন্তু অচেনা শহরে যেকোনো মানুষই প্রথম দেখলে এই হোটেলটিকে মসজিদ মনে করবে। তবে রমজান উপলক্ষে যেভাবে সাজানো হয়েছে দেখতে চমৎকার লাগছে। নামাজ আদায়ের পর হোটেলটিতে ঢুকেছিলাম। বাইরের মতো ভেতরেও পরিষ্কার-পরিছন্ন পরিবেশে খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে।  

শহরের জেনারেল হাসপাতালের সামনে দিলশাদ মিষ্টান্ন ভান্ডার নামের এই খাবারের হোটেলটি রমজানে রোজাদারদের বিভিন্ন আইটেমের ইফতার পরিবেশনের জানান দিচ্ছে। রমজান উপলক্ষে এখানে পাওয়া যাবে ভিন্ন স্বাদের ইফতারের আইটেম।  

রমজান উপলক্ষে নতুন সাজে দিলশাদ মিষ্টান্ন ভান্ডার-ছবি-বাংলানিউজদিলশাদ মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্তাধিকারী মাজেদুর রহমান দুলাল বাংলানিউজকে বলেন, আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে প্রতিবারই ভিন্ন পদ্ধতিতে সাজানো হয়। তবে এবারে একটু ব্যতিক্রমভাবে সাজানো হয়েছে। হোটেলের উপর মিনার ও গম্বুজগুলো স্থানীয় কারিগর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এখানে কাপড়, বাঁশ ও কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও দিলশাদের শাহী ইফতার রোজাদারদের জন্য সরবরাহ করা হবে। থাকবে শাহী জিল‍াপি, আমর্ত্তি, ছোলা, বুরিন্দা, বেগুনি, মুড়ি, পেঁয়াজো, ঘোলসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার।

দিনাজপুর শহরের দক্ষিণ বালুবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মো. সৌহার্দ্য বিন রাশেদ বাংলানিউজকে বলেন, ইফতার পরিবেশনে দিলশাদের সুনাম রয়েছে। শহরের অধিকাংশ রোজাদার এখানকার ইফতার নেন। খাবারের মান ভালো থাকায় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও তারা ইফতার নিয়ে যান। এই হোটেলটি দিনাজপুর শহরের পুরাতন হোটেলগুলোর মধ্যে অন্যতম। দীর্ঘদিন থেকে নিজেদের মান ধরে রাখায় হোটেলটি এখন শীর্ষস্থানে রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭
আরআর/বিএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।