আম চাষিদের কথা অনুযায়ী, আষাঢ় মাসের ৫-৭ তারিখ থেকেই পাকতে শুরু করে আম। এ মুহূর্তে চাপাই শিবগঞ্জ-কানসাট এলাকার প্রতিটি বাগানেই থোকায় থোকায় কাঁচা আম ঝুলছে।
চাষিদের দেখা যায়, বাগানের ভেতর কিছু কিছু আমের থোকায় বাঁশের ঠেকনি দিতে। অনেকে আবার ওষুধ স্প্রে করছেন পোকার হাত থেকে রক্ষা করতে। রাজশাহী অঞ্চলের আমের বড় বাজার কানসাট। সেখানেই এখনও আম ওঠেনি।
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, ২৫ মে বৃহস্পতিবার থেকে আম পাড়ার কথা থাকলেও চাষিরা জানালেন, আরো কমপক্ষে ১৫ দিন লাগবে আম পাকতে। এর আগে আম ধরলে সেটা অপরিপক্ক থেকে যাবে। সে আম মিষ্টি হবে না।
কানসাট এলাকার আম চাষি জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আম ধরা শুরু হয়নি। আরো ২০ দিন পরে আম পাওয়া যাবে। তখন কানসাট এলাকার রাস্তায় রাস্তায় দেখবেন আমের ঝুঁড়ি।
জিল্লুর রহমান ৬৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা দিয়ে এক বছরের জন্য একটি আম বাগান লিজ নিয়েছেন। তার বাগানে ২২৫টির মত ছোট বড় গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে ২০ থেকে ৪০ মণ করে আম পাওয়া যায়।
তার বাগানেই রয়েছে হিমসাগর (খিরসাপাত), লকনা, গুটি, ল্যাংড়া, ফজলি, আশ্বিনী ইত্যাদি হরেক রকমের আম। কোনো কোনো গাছে আম এতো বেশী ধরেছে যে আমের ঝোপাগুলো প্রায় মাটি ছুঁয়ে ঝুলছে।
অন্যদিকে আম পাকাতে এবং মজুত করতে আড়তদাররা ঠিক ঠাক করছেন তাদের ঘর। এখান থেকে কার্টন ভর্তি, ঝুড়ি ভর্তি আম যাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। এবার পুরা রমজান মাস জুড়েই আম পাওয়া যাবে বলে জানান চাষিরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭
এসএম/জেডএম