ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

তিস্তার পানি চুক্তি দ্রুত করা হবে: শ্রিংলা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৫ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭
তিস্তার পানি চুক্তি দ্রুত করা হবে: শ্রিংলা ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা /ছবি: রানা

ঢাকা: তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি যতো দ্রুত সম্ভব করা হবে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। তিনি বলেন, শুধু তিস্তা নয়, ফেনী ও কুশিয়ারাসহ অন্যান্য নদীগুলোর পানি বন্টন ও ব্যবস্থাপনাও করা দরকার।

মঙ্গলবার (২৩ মে) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) আয়োজনে  ‘ডিক্যাব টকে’ এ কথা বলেন তিনি।

ডিক্যাবের সভাপতি রেজাউল করিম লোটাসের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক পান্থ রহমান।



তিনি বলেন, আলোচিত গঙ্গা ব্যারেজ প্রকল্পের ৮০ কিলোমিটার ভারতের মধ্যেই থাকবে। এ ব্যারেজ নির্মাণের আগে দু’দেশ ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে ভালো-মন্দ বিচার করবে।  

শ্রিংলা বলেন, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা করা হয়, যেন দুর্বৃত্তরা আইন না ভাঙতে পারে। এখন বছরে মাত্র ২০ জন মারা যাচ্ছে সীমান্তে, যারা শুধু নিরাপত্তার হুমকি সৃষ্টি করেন।

জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে মন্তব্য করে শ্রিংলা বলেন, ‘আমি এখানে ভারতের মতোই নিরাপদ বোধ করি।

বাংলাদেশ ও ভারতের অনেক বিষয় রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় বিষয় হল, আমরা দু’দেশই বিশাল সীমানা শেয়ার করি। দুই দেশের নদীগুলো অভিন্ন এবং নদীগুলোর পাশেই আমাদের সভ্যতা গড়ে উঠেছে। ফলে একই ধরনের চিন্তা বহন করেন এ অঞ্চলের মানুষ’।  

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত এপ্রিলের ভারত সফরেও এ বিষয়টির প্রতিফলন দেখা যায়’।

তিনি বলেন, ‘আমরা যা কিছুই করি, দু’দেশের লাভ হতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হল, মানুষে মানুষে যোগাযোগ। ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। ২০০৮ সালের পরে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে’।

‘ল্যান্ড বাউন্ডারি অ্যাগ্রিমেন্ট’ এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ৫/৬ বছর সময় লেগেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের সংসদ তা স্বীকৃতি দেয়। মেরিটাইম নিয়ে চিন্তা-ভাবনা ভিন্ন হলেও সালিশ আদালতের রায় দু’দেশই মেনে নেয়। এজন্য ভারত খুশি। কারণ, বাংলাদেশ এ জলসীমায় স্বাধীনভাবে জ্বালানি, নিরাপত্তা ও মৎস্য শিকার করতে পারছে’।

শ্রিংলা বলেন, ‘দু’দেশের মধ্যে বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সীমানা পার হয়ে জেলেরা মাছ ধরতে গেলেও দু’দেশই আটক না করে ফেরত দিয়েছে- এমন নজির এখন প্রতিদিনের ঘটনা’।

‘প্রতি বছর ভারতে বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়ছে। বিবিআইএন চুক্তির আওতায় চারটি দেশে সহজেই পণ্য যাচ্ছে’।

তার মতে, রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ভারত বাংলাদেশকে দূষণ করছে- এ কথা বলাটা ঠিক হচ্ছে না। কারণ, ভারততো নিজ দেশে উৎপাদন করেই বাংলাদেশকে ৫শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দুই দেশের যৌথ প্রযোজনায় বাণিজ্যিক সিনেমা তৈরির পরিকল্পনা হচ্ছে বলেও জানান হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭
কেজেড/এসএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।