ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বগুড়ায় বিভিন্ন অভিযোগে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে শো’কজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৭ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭
বগুড়ায় বিভিন্ন অভিযোগে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে শো’কজ

বগুড়া: বগুড়ার ধুনট উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালসহ ১০টি গুরুতর অনিয়মের অভিযোগে সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেনকে কারণ দর্শাও (শো’কজ) নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর আলম বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ ১০টি অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযোগ সম্পর্কে জবাব জানতে জাকির হোসেনকে গত ১৩ এপ্রিল ও ১৫ মে তিনদিন সময় দিয়ে দু’বার শো’কজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

তবে তিনি এখন পর্যন্ত শো’কজের কোনো জবাব দেননি।

তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযুক্ত সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রধান কর্মকর্তা কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকলে অফিসের যেকোনো কাগজপত্রে স্বাক্ষর করার বৈধতা আমার রয়েছে। তাই স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ সঠিক নয়’।

শো’কজের বিষয়ে তিনি বলেন, শো’কজের জবাব দেওয়ার বিষয়টি নিতান্তই ব্যক্তিগত। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ওপর শো’কজের জবাব নেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে বলেও দাবি করেন তিনি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রের অভিযোগ, প্রায় ১০ বছর ধরে এ উপজেলায় কর্মরত রয়েছেন সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন। ফলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সঙ্গে গভীর সখ্যতা গড়ে উঠেছে তার। এ সুযোগে জড়িয়ে পড়েছেন নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে।

তার বিরুদ্ধে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালিয়াতি, অফিস প্রধানকে অসন্মানিত করা, শৃঙ্খলা ভঙ্গ, গোপনে অফিসের চিঠিপত্র ইস্যু ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টিসহ ১০টির মতো অভিযোগ ওঠে।

এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৮ মার্চ ধুনট এনইউ পাইলট মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক, বগুড়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগকারী শিক্ষক মশিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ‘গত বছরের ২৯ নভেম্বর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুর আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে আমাদের বিদ্যালয়ে ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ক এসিটি শিক্ষক নিয়োগের তালিকা পাঠানো হয়। কিন্তু জাকির হোসেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ধুনট এনইউ পাইলট মডেল স্কুলের নাম পরিবর্তন করে সেখানে অন্য একটি বিদ্যালয়ের নাম যুক্ত করেন। পরে তিনি গোপনে সেই সংশোধনী তালিকা সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়ে দেন’।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭
এমবিএইচ/জিপি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।