ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রেইনট্রি হোটেলের এমডিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭
রেইনট্রি হোটেলের এমডিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে রেইনট্রি হোটেলের এমডিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে

ঢাকা: শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে জবানবন্দি দিচ্ছেন বনানীর রেইনট্রি হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ মো. আদনান হারুন। মঙ্গলবার (২৩ মে) ১১টার পর কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে হাজির হন তিনি।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নুরুল হুদা আজাদ, যুগ্ম পরিচালক শফিউর রহমান এবং তিনজন উপপরিচালক রেইনট্রি হোটেলের এমডিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বাংলানিউজকে এ খবর নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, এর আগে ১৭ মে উপস্থিত হয়ে জবানবন্দি দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি (আদনান) অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজির হননি। এ সময় তার পক্ষে আইনজীবী অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবীর অধিদপ্তরে হাজির হয়ে এক মাসের সময় চেয়ে আবেদন করলে ২৩ মে সশরীরে অধিদপ্তরে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানের সময় মঞ্জুর করা হয়।  

অপরদিকে শুল্ক গোয়েন্দায় হাজিরের একদিন আগে সোমবার (২২ মে) সকালে আদনানকে তলবের নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে আদেশ জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। এরপর দুপুরে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার হাইকোর্টের আদেশে স্থগিতাদেশ দেন। চেম্বার বিচারপতির এই আদেশের পর শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরে রেইনট্রি হোটেলের এমডি আদনানের হাজির হওয়ায় বিষয়ে আর কোনো বাধা থাকে না।

গত ২৮ মার্চ বনানীর দ্য রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের শিকারের অভিযোগে ৬ মে বনানী থানায় মামলা করেন এক ভিকটিম। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে দুই ছাত্রী জানান, গত ২৮ মার্চ বনানীর দ্য রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিয়ে তাদের নেওয়া হয়। সেখানে তারা ধর্ষণের শিকার হন।

এরপর গত ১৪ মে বনানীর রেইন ট্রি হোটেলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক শফিউর রহমান অভিযান চালিয়ে একটি কক্ষ থেকে ১০ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করে।

এর আগে শনিবার (১৩ মে) মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর দ্য রেইন ট্রি হোটেলে অভিযান চালায়। গুলশান জোনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ওয়াবদুল কবিরের নেতৃত্বে দলটি শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে হোটেলটি পরিদর্শনে যান। কিন্তু হোটেলেটিতে পরিদর্শন করে তখন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কোনো ধরনের কিছুই পায়নি।

পরবর্তীতে শুল্ক গোয়েন্দা রেইন ট্রি হোটেলে অভিযান চালিয়ে বিদেশি মদ উদ্বার করে। এ ঘটনায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

এছাড়া সোমবার (২২ মে) রেইন ট্রি হোটেল থেকে উদ্বার হওয়া ১০ বোতল মদ বিদেশি বলে প্রমাণিত হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কেমিকেল টেস্ট রিপোর্টে এই ফলাফল পাওয়া গেছে। যে রিপোর্টে জব্দকৃত মদে ১৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ অ্যালকোহল পাওয়া গেছে।

ধর্ষণের ঘটনাস্থল রেইনট্রি হোটেলের মালিক আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বি এইচ হারুনের পরিবারের সদস্যরা। হোটেলের চেয়ারম্যান হলেন বি এইচ হারুনের ছেলে শাহ মো. নাহিয়ান হারুন এবং এমডি আরেক ছেলে শাহ মো. আদনান হারুন। এছাড়া হারুনের স্ত্রী মনিরা হারুন, ছেলে মাহির হারুন এবং মেয়ে হোমায়রা হারুন হোটেলটির পরিচালক পদে রয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭
এসজে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।