সোমবার (২২ মে) দুপুরে তিনি বাগেরহাটের মূখ্য বিচারিক হাকিম মো. জিয়া হায়দারের আদালতে হাজির হয়ে অর্থ আত্মসাতের মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। কিন্তু আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের দায়ের করা মামলায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শমসের আলীকে কারাগারে পাঠান আদালত। মামলাটি বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তাধীন। তবে শমসের আলী শুরু থেকেই ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
গত ১৯ মার্চ বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের ৯শ ৭৭ জন বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের মধ্যে ভাতার টাকা বিতরণে দুই থেকে তিনশো টাকা ঘুষ নেন বলে অভিযোগ ওঠে। এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
পরে উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল হুদা তদন্তে নেমে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা পান। এর দুইদিন পর জরুরি সভা করে তিনি তার ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলামকে আগামী তিন মাসের জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেন।
এরপর ২৬ মার্চ বাগেরহাট সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবুল মোকাররম মো. ফজলে এলাহী বাদী হয়ে গোটাপাড়া শমসের আলীর বিরুদ্ধে বাগেরহাট মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
বাংলাদে সময়: ০৫১৬ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭
এমএফআই/এসএনএস