ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

‘বনানী থানার জবাব সন্তোষজনক না হলে ব্যবস্থা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৫ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৭
‘বনানী থানার জবাব সন্তোষজনক না হলে ব্যবস্থা’

ঢাকা: রাজধানীতে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় বনানী থানার গাফিলতির প্রমাণ পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, তাদের শুরুর দিকের নিষ্ক্রিয়তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। জবাব সন্তোষজনক না হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার (২২ মে) দুপুরে ডিএমপি সদরদফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় বনানী থানার গাফিলতি ছিলো কিনা তা জানতে যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল, সেই কমিটি কিছুটা গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই কর্মকর্তাদের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। কেন বনানী থানা এ ঘটনায় শুরুর দিকে নিষ্ক্রিয়তা দেখিয়েছিল, সেজন্য তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, তদন্ত কমিটি সোমবার সকালে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তদন্তে পুলিশ সদস্যরা আরও বেশি দায়িত্ববান হতে পারতেন বলে উঠে এসেছে। এমনকি দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও সুপারিশ করেছে কমিটি।

তিনি জানান, অভিযুক্তদের কাছ থেকে সন্তোষজনক জবাব না এলে বিভাগীয়সহ সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিএমপির সর্বোচ্চ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আসন্ন রমজান মাসে রাজধানীজুড়ে পরিকল্পিতভাবে ট্রাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যানজট যেন সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি রমজানে রাজধানীতে যানজট হবে না। ’

রমজানে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিনি নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।

বনানীর রেইন-ট্রি হোটেলে ওই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নিতে বিলম্ব করা, ভুক্তভোগীদের চরিত্র হননের চেষ্টা, হয়রানি, আসামিপক্ষ থেকে মোটা অংকের অর্থ নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরমান আলীর বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, মামলা করতে গেলে ওসি বিষয়টি নিয়ে নানা টালবাহানা করতে থাকেন। তবে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশে পরে মামলা নেওয়া হলে তারপর থেকেই দৃশ্যপট পাল্টে যেতে থাকে।

আলোচিত এ ঘটনার মধ্যেই পারিবারিক কারণ দেখিয়ে পাঁচ দিনের ছুটিতে যান ফরমান আলী।

এসব অভিযোগ তদন্তে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেন। অতিরিক্ত কমিশনার মিজানুর রহমানকে প্রধান করে গঠিত কমিটিতে সদস্য হিসেবে ছিলেন ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় (ক্রাইম) ও যুগ্ম-কমিশনার (ডিবি) আবদুল বাতেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৭
এমএ/আরআইএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।