ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রমজানে বার-ক্লাবে মদ-জুয়ার আসর বসলে কঠোরভাবে দমন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৮ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৭
রমজানে বার-ক্লাবে মদ-জুয়ার আসর বসলে কঠোরভাবে দমন বক্তব্য দিচ্ছেন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন- ছবি: সুমন শেখ, ভিডিও: ইকরাম-উদ দৌলা

ঢাকা: আসন্ন রমজানে ক্লাব বা বারে মদ ও জুয়ার আসর বসলে কঠোরভাবে তা দমন করা হবে। এতে কোনো প্রভাবশালী জড়িত থাকলেও ছাড় দেওয়া হবে না। তাই সম্মানিত ব্যক্তি যারা আছেন, তারা এমন কর্মকাণ্ডে জড়ালে তার দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে।

আসন্ন রমজান উপলক্ষে সোমবার (২২ মে) দুপুরে নগর ভবনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন এই হুঁশিয়ারিমূলক বক্তব্য দেন।

ডিএসসিসিভুক্ত এলাকার ফল ব্যবসায়ী, রেস্টুরেন্ট মালিক, ক্লাব ও বারের নেতা, মসজিদের ঈমামদের নিয়ে সভাটির আয়োজন কর‍া হয়।

মেয়র বলেন, অন্যবার রমজানে খাদ্যে ভেজাল পাওয়া গেলে শুধু জরিমানা করা হয়। এবার জেলসহ জরিমানা করা হবে। আর এজন্য রমজানের প্রথমদিন থেকেই অভিযান চালাবে ডিএসসিসি। সভায় মেয়র সাঈদ খোকন-ছবি:সুমন শেথ সাঈদ খোকন বলেন, ফলে আগের তুলনায় ফরমালিন কমেছে। তবে এটা শূন্য শতাংশ দেখতে চাই। কেননা, রমজানে ফল ইতফারের একটি বিশেষ আইটেম। এ ফল খেয়ে বাসার শিশু, প্রবীণরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। অনেক সময় মৃত্যুও হয়। তাই ফলে ফরামালিন বা রং মেশানো বরদাশত করা হবে না।

তিনি বলেন, আমরা চাই না অভিযানে কোনো ব্যবসায়ী বিব্রত হোন। আপনারা ব্যবসা করেন, কিন্তু সেটা অবশ্যই মানুষের স্বাস্থ্যহানি করে নয়। তাই কঠোরভাবে নির্দেশনা দিচ্ছি, রমজানে কোনো ভেজাল খাদ্য বা ফল সরবরাহ করবেন না।

মেয়র ঈমামদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা মসজিদে খুতবার সময় বা অন্য পন্থায় এসব বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলুন।

সভায় রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খোন্দকার রুহুল আমিন বলেন, আমরা মালিকরা চাই না ভেজাল খাদ্য বা অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করতে। কিন্তু কর্মচারীরা আমাদের অজান্তেই অনেক সময় এসব করে থাকে। তাই রেস্টুরেন্ট কর্মচারীদের জন্য ট্রেনিং ইন্সস্টিটিউট গড়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অনেক রেস্টুরেন্ট মালিক আমাদের সমিতিতে যোগ দিতে চায় না। ফলে যারা ভেজাল করে তাদের জবাবদিহিতায় আনা যায় না। তাই ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার সময় বা লাইসেন্স নবায়নের সময় আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের সুপারিশ বা অনুমোদন নেওয়ার বিষয়টি আইনে আনা উচিত।

সাকুরা বারের প্রতিনিধি জিয়াউল হক বলেন, আমরা মেয়রের সব নির্দেশনা মেনে চলবো।

ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শেখ সাহালউদ্দীন বলেন, অভিজাত থেকে শুরু করে সাধারণ রেস্টুরেন্ট পর্যন্ত কোথাও রান্নাঘরে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নেই। কর্মচারীরা হ্যান্ডগ্লাভস পরেন না। বাথরুম-কিচেনের পাশেই সাবান থাকলেও তারা ভালো করে হাত ও পা ধুয়ে কাজ শুরু করেন না। এছাড়া খাবারে অস্বাস্থ্যকর রং ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এসব চলবে না। স্বাস্থ্যনীতি মেনে চলতে হবে।

সভায় ডিএসসিসি'র প্রধান নির্বাহী খান মোহাম্মদ বিল্লাল, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য আব্দুল বাতেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৭/আপডেট: ১৪২৫
ইইউডি/এএটি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।