সরেজমিনে গেলে এসব কথা বলেন সিরাজগঞ্জ জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে বই পড়তে আসা অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শরীফুল ইসলাম। তার মতে, বই পড়ার এমন সহজ সুযোগ হাতছাড়া করা যায় না।
বিএল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র ওসমান গণি প্রায় তিন কিলোমিটার দূরের জানপুর মহল্লা থেকে সাইকেলযোগে আসে এ লাইব্রেরিতে। একই বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির মারুফ হোসেন, এসবি রেলওয়ে কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়ের কাওসার, সাজু সেখসহ আরও অনেক শিক্ষার্থীও আসে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।
এসব শিক্ষার্থীরা অবসর সময়ে বই পাঠেই ব্যস্ত থাকতে চায়।
শিক্ষার্থীরা জানায়, সিরাজগঞ্জ সরকারি গণগ্রন্থাগার বই পাঠের অত্যন্ত উপযোগী স্থান। বিশেষ করে লাইব্রেরিটির বাইরে ও ভেতরের পরিবেশ খুবই সুন্দর। যথেষ্ট নিরাপত্তাও রয়েছে এখানে।
ধানগড়া থেকে আসা ব্যবসায়ী উল্লাস খান বলেন, ‘সুন্দর, মনোরম ও নিরিবিলি পরিবেশে আপন মনে বই পড়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে গ্রন্থাগারটি। এখানে শিক্ষার্থীরাই বেশি আসে। তবে নারী পাঠকের সংখ্যা একেবারেই নগণ্য’।
লাইব্রেরি সহকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এখানে প্রায় ২০ হাজার বই রয়েছে। ১০টি বাংলা ও ১টি ইংরেজি জাতীয় এবং ১টি স্থানীয় দৈনিক ছাড়াও বেশ কিছু পত্রিকা ও সাময়িকী রাখা হয়। কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সুবিধাও রয়েছে এখানে। এ কারণেই পাঠকেরা লাইব্রেরিটির প্রতি আকৃষ্ট হন।
প্রতিদিন গড়ে ৩০০ পাঠক এখানে পড়তে আসেন। এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী। বর্তমানে লাইব্রেরিটির সদস্য সংখ্যা ১৪৭ জন।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা রাখা হয় গ্রন্থাগারটি।
জুনিয়র লাইব্রেরিয়ান হালেমা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা পাঠকদের বিভিন্ন সেবা দেওয়ার পাশাপাশি জাতীয় দিবসগুলোতে পাঠক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকি। এর মধ্যে আবৃত্তি, হাতের লেখা, রচনা ও বইপাঠ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পাঠকদের বই পাঠে উদ্বুদ্ধ করা হয়’।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৭
এএসআর