মনিকগঞ্জ জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে একজন সহকারী লাইব্রেরিয়ান, একজন জুনিয়র লাইব্রেরিয়ান, একজন লাইব্রেরি সহকারী এবং একজন অফিস সহায়ক পদ রয়েছে। লাইব্রেরি সহকারী ওবায়দুল হক গত এক বছর ধরে ঢাকায় ডেপুটেশনে রয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, লাইব্রেরি ভবনের নিরাপত্তায় মূল গেটের সঙ্গে গার্ডরুম থাকলেও সেখানে কোনো গার্ড নেই। সরকারি যেকোনো বন্ধ বা সাপ্তাহিক ছুটিতে এবং রাতের বেলা গণগ্রন্থাগারটি থাকে সম্পূর্ণ অনিরাপদ অবস্থায়। ভেতর থেকে বড় দু’টি তালা দিয়ে মূল গেট বন্ধ রেখেও নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় থাকেন বলে জানান সহকারী লাইব্রেরিয়ান মাসুমা নাজনীন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘জনবল সংকটেও কষ্ট হচ্ছে। তারপরও পাঠকদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি’।
মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র সোহানুর রহমান বলেন, ‘গণগ্রন্থাগারের তাকগুলোতে হাজার হাজার বই সাজানো রয়েছে। সেখান থেকে নিজের পছন্দের বই খুঁজে বের করতে অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। একজন মাত্র অফিস সহায়ক থাকায় তাকে বার বার বিরক্ত করতে খারাপ লাগে’।
এখানে আরও দু’জন কর্মরত থাকলে পাঠকেরা উপকৃত হবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৭
এএসআর