তবে বহু পুরনো ভাড়া এ ভবনটি ছেড়ে লাইব্রেরিটি চলে যাবে নির্মাণাধীন নতুন নিজস্ব ভবনে। এক বছরের মধ্যে স্থানান্তর সম্পন্ন হলে বৃহত্তর পরিবেশে পাঠের সুপরিবেশে পাঠক আরও বাড়বে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
সরেজমিনে গেলে লাইব্রেরিয়ান রুবিনা মিরাজ জানান, গাজীপুরের এ পাবলিক লাইব্রেরি ভবনটিতে এক সময়ে ভাওয়াল রাজার আশ্রিত সন্যাসীদের ঘোড়ার ঘর ছিল। সন্যাসীদের পালিত ঘোড়া থাকতো এখানে। দীর্ঘদিন পর ১৯৮৫ সালের দিকে একতলা ওই ঘরটিতে পাঠাগার তৈরি করেন স্থানীয়রা।
১৯৮৯ সালের দিকে সরকারি হলে নামকরণ করা হয় গাজীপুর জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার। পাঠকদের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় ২০০৫ সালের দিকে প্রকৌশলীদের দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে সরকারি খরচে এটির দ্বিতীয় তলা নির্মিত হয়।
তিনি জানান, বর্তমান ভবনের জায়গা অল্প থাকায় পাঠকদের বসে পড়ার ব্যবস্থা কম। ভেতরে আলমারি ও সেলফ রাখার পর্যাপ্ত জায়গাও নেই। ফলে কিছু বই মেঝেতে রাখা হয়েছে।
রুবিনা মিরাজ জানান, গাজীপুর জেলা পরিষদের পশ্চিম পাশে এ পাবলিক লাইব্রেরির জন্য এক বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমি অধিগ্রহণ করে গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে তিনতলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
ভবন নির্মাণের কাজ আগামী ১২ মাসের মধ্যে শেষ হবে। পরে গাজীপুর জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সকল কার্যক্রম ওই ভবনে নেওয়া হবে।
এখনকার লাইব্রেরিতে পাঠকরা নিয়মিত পড়তে আসেন। নতুন ভবন পেলে পাঠকের সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে বলেও আশাবাদী লাইব্রেরিয়ান।
তার মতে, নতুন ভবনের আশেপাশে রয়েছে বেশ কয়েকটি স্কুল-কলেজ ও গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। পরিবেশ ভালো থাকলে ওইসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও বিভিন্ন ধরনের বই ও পত্রিকা পড়তে অবশ্যই আসবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪৩ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৭
আরএস/এএসআর