দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন, সদর উপজেলার পলাশবাড়ী স্কুলপাড়ারা মৃত শফিকুল ইসলামের স্ত্রী নাসিমা বেগম ও পলাশবাড়ী দক্ষিণপাড়ার মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে শামসুজ্জামান।
রোববার (২১ মে) দুপুরে বগুড়ার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শফিকুর রহমান এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০১৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতের ঘটনা। নাসিমা বেগমের স্বামী শফিকুল ইসলাম ও শামসুজ্জামান পরস্পর বন্ধু ছিলেন। এ সুবাদে প্রায়ই শফিকুলের বাড়িতে শামসুজ্জামান আসতেন। এভাবে আসা যাওয়ার ফলে নাসিমা বেগমের সঙ্গে শামসুজ্জামান পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। ওই রাতে মেলামেশার সময় শফিকুল ইসলাম তাদের দু’জনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে নাসিমা বেগম ও শামসুজ্জামান দু’জনের মিলে শ্বাসরোধ করে শফিকুল ইসলামকে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ পাশের একটি কলা বাগানে ফেলে দেয়। পরদিন পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় তৎকালীন বগুড়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গুলজার রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে একই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নাসিম বেগম ও শামসুজ্জামানকে গ্রেফতার করেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেন।
পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দু’জনকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ৮ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতের বিচারক রোববার (২১ মে) দুপুরে উভয়পক্ষের আইনজীবীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণাকালে আদালতে আসামি শামসুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। তবে নাসিমা বেগম পলাতক রয়েছেন। আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ এইচ খান গোলাম রব্বানী রোমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৭
এমবিএইচ/এসএইচ