ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

একধাপ এগোলো মহাখালীর আইটি ভিলেজ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৫ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৭
একধাপ এগোলো মহাখালীর আইটি ভিলেজ

ঢাকা: খসড়া ফিজিবিলিটি স্টাডি রিপোর্ট তৈরির মধ্য দিয়ে আরও একধাপ এগিয়ে গেলো মহাখালীর আইসিটি ভিলেজ নির্মাণ কাজ। ফলে দীর্ঘদিন পরে আলোর মুখ দেখছে আইটি ভিলেজটি।

২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি’র নির্বাহী কমিটির বৈঠকে বিভাগীয় পর্যায়ে যে সাতটি আইসিটি ভিলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়, তার একটি হচ্ছে রাজধানীর মহাখালীতে। গত মাসে  আইসিটি ভিলেজগুলোর খসড়া ফিজিবিলিটি স্টাডি রিপোর্ট তৈরি করেছে ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ফ্যাসিলিটেশন কোম্পানি’।

মহাখালী আইটি ভিলেজের প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণে ৭৯ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করেছে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ। ডাক ও তার বিভাগের ৪৭ একর জমিতে এটি নির্মিত হবে। জমির কিছু অংশ কড়াইল বস্তির মধ্যে পড়েছে।

চলতি সময় থেকে জুন ২০২০ সালের মধ্যেই আইটি ভিলেজের সকল অবকাঠামো নির্মিত হবে। প্রকল্পটি এখন একনেক সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

আইসিটি সূত্র জানায়, বর্তমানে বাংলাদেশে এক হাজারেরও বেশি আইটি কোম্পানি রয়েছে। এসব কোম্পানি প্রতি বছর ৮০ কোটি ডলার আয় করছে। আরও আছেন ১০ হাজার ফ্রিল্যান্স পেশাজীবী। এসব ফ্রিল্যান্সার ও আইটি প্রফেশনালরাও স্থানীয় ও বৈদেশিক ক্লায়েন্টদের আইটি সেবা দিয়ে অর্থ উপার্জন করছেন।

মহাখালী আইটি ভিলেজে মোবাইল ও ল্যাপটপসহ সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার, আইটিইএস ও ইলেকট্রনিক্স স্থাপন ও পরিচালনা করা হবে। ফলে স্থানীয় ও বৈদেশিক কোম্পানিগুলোর জন্য ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি হবে। হাইটেক সম্পর্কিত তরুণদের জন্য বিশাল কর্মসংস্থানের দ্বারও খুলে যাবে।

সফটওয়্যার ও আইটি সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রির জন্য প্রভাবশালী বিজনেস সোর্স হচ্ছে স্থানীয় বাজার। এসব স্থানীয় বাজারও মহাখালী আইটি ভিলেজে পাবে নানা সুযোগ-সুবিধা।

সরকারি খাতের বিনিয়োগ আসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) থেকে। আর বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ আসে বেসরকারি ব্যাংক ও যৌথ উদ্যোগের কোম্পানি থেকে। আইসিটি খাতের এফডিআই (সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ) প্রধানত আসে টেলিফোন ও মোবাইল শিল্পে। এসব শিল্পের বিশাল সম্ভাবনাও সৃষ্টি হবে মহাখালীতে।

আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অনুবিভাগ) সুশান্ত কুমার সাহা বাংলানিউজকে বলেন, ‘ফ্রিল্যান্স পেশাজীবীদের অনেকেই এখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন। দেশি-বিদেশি কোম্পানিগুলো এখানে বিনিয়োগ করতে পারবে। সেজন্য ১০ বছরের ট্যাক্স হলিডে পাবে বিদেশি কোম্পানিগুলো’।

‘মহাখালীর আইটি ভিলেজ অনেকটাই এগিয়েছে। প্রকল্পের আওতায় আবাসনেরও ব্যবস্থা করবো। তবে কড়াইল বস্তির জমি নিয়ে একটু ঝামেলা রয়েছে’।

সুশান্ত কুমার সাহা জানান, জ্ঞানভিত্তিক প্রযুক্তি নির্ভর দেশ গড়তে কালিয়াকৈর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক, যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, সিলেট ইলেকট্রনিক্স সিটি ও রাজশাহী বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের কাজ চলমান রয়েছে। শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

নির্মাণাধীনগুলোর পাশাপাশি আরো ১২টি আইটি পার্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এসব আইটি পার্কের মধ্যেই অন্তর্ভূক্ত মহাখালীসহ সাতটি বিভাগীয় আইটি ভিলেজ প্রকল্প।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৫ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।