ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ইউরোপমুখী জনস্রোতে বাংলাদেশিরাও, কিন্তু কেন?

হুসাইন আজাদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭
ইউরোপমুখী জনস্রোতে বাংলাদেশিরাও, কিন্তু কেন? সম্প্রতি লিবিয়া উপকূলে কাঠের একটি নৌকা থেকে এক শিশু ও এক নারী অভিবাসীকে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছেন জনৈক স্বেচ্ছাসেবী

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও বিশ্ব ব্যাংকসহ কয়েকটি সংস্থা দাবি করেছে, লিবিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে ইউরোপমুখী জনস্রোতে যেমন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোর আতঙ্কিত নাগরিকরা রয়েছে, তেমনি রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার ভাগ্য-অনুসন্ধানী মানুষেরাও। এমনকি এদের মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যাই নাকি সবচেয়ে বেশি! চলতি বছরই নাকি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ২ হাজার ৮০০ বাংলাদেশি পা রেখেছে ইতালিতে।

কেন এই অবৈধ-বিপজ্জনক-অনিশ্চিত যাত্রা? এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। ‘কোথা থেকে ইউরোপমুখী জনস্রোত নামছে? আশ্চর্য: দেশটি বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ প্রতিবেদন তুলে ধরা হচ্ছে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য।

---

ইউরোপ অভিমুখে এই যে অভিবাসীদের স্রোত— ঠিক কোন দেশ থেকে নামে? হয়তো নাম আসবে সিরিয়া অথবা যুদ্ধবিধ্বস্ত কোনো দেশের নাম। কিন্তু না। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মতে, ইউরোপে অভিবাসী ‘প্রেরক’ দেশের তালিকায় শীর্ষে একটি গণতান্ত্রিক দেশ। বাংলাদেশ। যে দেশটা ‍আবার মানব উন্নয়ন সূচকে ক্রমেই উন্নতি করে যাচ্ছে।

আইওএম’র তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশি অভিবাসীরা ৮-৯ হাজার ডলার (সাড়ে ৬ লাখ থেকে সোয়া ৭ লাখ টাকা) খরচ করে লিবিয়া পাড়ি জমায়।   এরপর সেখান থেকে ৭০০ ডলারের মতো (অর্ধলাখ টাকার কিছু বেশি) খরচ করে ইতালিতে ওঠার জন্য নেমে পড়ে ভূমধ্যসাগরের অনিশ্চিত যাত্রায়।

এদের বেশিরভাগই কর্মের খোঁজে এমন অনিশ্চিত যাত্রায় নামেন। যদিও তাদের বেশিরভাগই ঝুঁকিপূর্ণ কর্মস্থল থেকেই পালিয়ে থাকেন। কতোটা ঝুঁকিপূর্ণ সেটা এক পরিসংখ্যানের দিকে চোখ বুলালেই বোঝা যায়। ২০০৯ সাল পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও ওমানে ৩৭ লাখ বাংলাদেশি কাজ করছিলেন। এদের মধ্যে ২০০৪-২০০৯ মেয়াদে হাজারে হাজার শ্রমিক কর্মস্থলে মারা যান, যাদের মধ্যে মাত্র ৮ হাজার জনের মরদেহ ফিরে পেয়েছে স্বদেশে থাকা পরিবার। এমন বহু ঘটনা আছে, চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মীদের অমানবিক কাজে বাধ্য করে থাকে, এদের কেউ ফিরে যেতে চাইলে আবার পাসপোর্ট রেখে জিম্মিদশায় ফেলে কাজ করায়। কিছু দেশে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়েরও ঘটনা ঘটে।

এই অভিবাসী কর্মীরা যখন না পারেন স্বদেশে ফিরতে, না পারেন কর্মস্থলে থাকতে, তখনই বাঁচতে হন্যে হয়ে ওঠেন অপেক্ষাকৃত উন্নত কর্মপরিবেশে পাড়ি দেবার জন্য।

যে কারণে বিদেশযাত্রা করেন বাংলাদেশিরা

বাংলাদেশিদের অনেকের কাছেই অভিবাসন এখনও ভাগ্যোন্নয়নের অল্প কিছু রাস্তার একটি মনে হয়। যদিও দেশটিতে ১৯৯১ সালে বিদ্যমান দারিদ্র্যের হার ৪৪ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমে ২০১০ সালে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশে এসেছে। তারপরও বাংলাদেশ কাঠামোগতভাবে বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। যেমন দেশটির ১৬ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষের মধ্যে মাত্র ৩৪ শতাংশ নগরাঞ্চলে বসবাস করে। বাকিরা বসবাস করে উপকূল বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে। যে কারণে বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষ উপকূল ও গ্রামাঞ্চল ছাড়তে বাধ্য হয়। ফলে শহরগুলোর অবস্থা জনাকীর্ণ, আর সে চাপে ক্রমবর্ধমান শিক্ষিত গোষ্ঠীর বেকারত্বের হার।

চাকরির বাজারে কোনো জায়গা সংকুলান না হওয়ার ফলে অনেক তরুণ ও তরুণী বিদেশে চাকরি খুঁজতে শুরু করে। পরিসংখ্যান মতে, বাংলাদেশের মোট কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর ৫ দশমিক ৫ শতাংশই বিদেশে কর্মরত। মধ্যপ্রাচ্যে তাদের শীর্ষ পাঁচটি গন্তব্যের মধ্যে ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন অন্যতম। কিন্তু এসব দেশের অনিরাপদ ও বিপজ্জনক কর্ম-পরিবেশ সেই আগ্রহী গোষ্ঠীকে ইউরোপের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, বিশেষত ইতালি অভিমুখে। বর্তমানে ইতালির রাজধানী রোমে বাংলাদেশিরাই ছোট-খাট দোকান চালাচ্ছে, ফুটপাতেরে দোকানগুলোও বেশি তাদের। তারা স্থানীয় জনপদে নিজেদের অবস্থান করে নিয়েছে। এমনকি নিজেরা স্বদেশিদের নিয়ে আঞ্চলিক সংগঠনও চালাচ্ছে।

বিশ্বব্যাংকের হিসাব মতে, এই অভিবাসীরা দেশে কোটি কোটি ডলার পাঠাচ্ছে, যেটা তাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে চলেছে।

বাংলাদেশের অভিবাসনের ইতিহাস অবশ্য অনেক দীর্ঘ। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর দেশটিতে কর্মহীনতা দেখা দেয়। তখন আবার উপসাগরীয় দেশগুলোর তেলখনিতে কাজ করার জন্য শ্রমিক দরকার পড়ছিল। আর সেই চাহিদায় স্রোত নামে বাংলাদেশিদের। সৌদি আরব ও দুবাইয়ে কাজ করা অনেক তরুণের স্বপ্নের ব্যাপারও হয়ে ওঠে। অভিবাসন সবার অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের দ্বার খুলে দেয়। অভিবাসী কর্মীদের পরিবার দিনে দিনে সম্পদশালী হয়ে ওঠে বলে তাদের সাফল্যের কারিগর হিসেবে দেখা হতে থাকে।

একসময় এই ভাগ্যোন্নয়নের পেশায় যুক্তকরণে আসে একদল মধ্যস্থতাকারী। সরকারের পাশাপাশি শুরু হয় বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ের মধ্যস্থতা। তখন শুরু হয় অবৈধ ও সহিংস উপায়েও বিদেশে পাড়ি জমানোর চর্চা। এই চর্চার ফলে সেই দেশগুলোতে যাওয়ার খরচ হু হু করে বেড়ে যেতে থাকে। এটা এখন এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যে, ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কার কোনো কর্মীর মধ্যপ্রাচ্যে যেতে গেলে যে খরচ লাগে, তার চেয়ে সাড়ে চারগুণ বেশি লাগে বাংলাদেশিদের। এই খরচের ৬০ শতাংশই যায় মধ্যস্থতাকারীদের পকেটে। বাকি ১৮ শতাংশ যায় প্রক্রিয়ার খরচ। আর নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের আনুষ্ঠানিক খরচ বাবদ পায় মাত্র ১০ শতাংশ।

মধ্যপ্রাচ্য থেকে মন উঠে যাচ্ছে বাংলাদেশিদের

ঝুঁকিপূর্ণ কর্মপরিবেশ আর আকাশচুম্বী খরচসহ নানা কারণে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশি কর্মোদ্যমীদের মন উঠে যাচ্ছে। এরমধ্যে আবার সৌদি আরবও বাংলাদেশ থেকে বেশি কর্মী নিচ্ছে না। লিবিয়া-ইরাক-ইয়েমেন-সিরিয়া-লেবাননের মতো দেশগুলোতে সংঘাত শুরু হওয়ায় সেসব অঞ্চল থেকেও আতঙ্কে ফিরতে শুরু করেছে বাংলাদেশিরা। ২০১১ সালে লিবিয়ার লৌহমানব মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতন আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজার বাংলাদেশি প্রাকৃতিক সম্পদসমৃদ্ধ দেশটি থেকে ফিরে গেছে বলে তথ্য রয়েছে। অনেক মানবাধিকার সংগঠন এসব দেশগুলোতে আবার শ্রমিক নির্যাতনের অভিযোগের কথাও জানিয়ে আসছে বিভিন্ন সময়।

আর সব হিসাব-নিকেশে এসে দেখা যাচ্ছে, ভাগ্যোন্নয়নে যারা দেশ ছেড়েছিল, তারা স্বজনদের মলিন মুখের কথা ভেবে না পারছে দেশে ফিরতে, না পারছে কর্মস্থলে থাকতে। সুতরাং আরও ভালো বা বিকল্প জায়গায় যেতে হবে। সেটা কোথায় হতে পারে? সহজ হিসাব অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী ইউরোপ। আর মধ্যপ্রাচ্য থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিলেই তো সেই স্বপ্নের ইউরোপ।

এর মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া-লিবিয়া-ইরাক থেকে মানুষ দলে দলে নামতে থাকলো ভূমধ্যসাগরে। উদ্দেশ্য ইউরোপ। বাংলাদেশিরাও যোগ দিলো সে দলে। অভিবাসন সংস্থাগুলোর সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, চলতি বছরই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ২ হাজার ৮০০ বাংলাদেশি পা রেখেছে ইতালিতে।

ইউরোপে অবৈধভাবে পাড়ি জমানো বাংলাদেশিদের জন্য নতুন নয়। তাদের এই তৎপরতার কারণে ২০১৫ সালে লিবিয়ান সরকার সেদেশে বাংলাদেশি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়। তখন দাবি করা হয়, বাংলাদেশিরা এখানে এসে ইউরোপে চলে যেতে চেষ্টা করে। গাদ্দাফির পতন পরবর্তী লিবিয়ার সংঘাত পরিস্থিতি এই সুবিধাকে আরও বিস্তৃত করে দেয়। এই সুবিধার ব্যবহার করে মধ্যপ্রাচ্য বা লিবিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশিদের ইউরোপে পাড়ি জমানোর হার আরও বেড়ে যেতে থাকে।

বাংলাদেশের চাকরির বাজার এখনও ভয়ঙ্কর

বাংলাদেশি তরুণদের বিদেশে পাড়ি জমাতে মানসিকভাবে প্রভাবিত করছে স্বদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট।   ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও  জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় বেকারত্বে নুইয়ে পড়া দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে। ২০১৩ সালে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন মতে, ৪১ শতাংশ বাংলাদেশি তরুণ (সেসময়) না চাকরিতে ছিলেন, না শিক্ষায়, না প্রশিক্ষণে। সেসময় তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার ছিল ৭৮ শতাংশ।

সেদেশে প্রচলিত আছে, দক্ষ কর্মী হলেও চাকরি পাওয়া যাবে পৃষ্ঠপোষক থাকলেই। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায়ই অভিজাত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দেয়। উচ্চশিক্ষা খাতেও দুর্নীতির অভিযোগ আছে। বলা হয়, ঘুষ না দিলে অথবা রাজনৈতিক যোগাযোগ না থাকলে শিক্ষার্থীরা ভালো স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে না।

অদক্ষ কর্মীরা শহরে-নগরে অস্থায়ী চুক্তিতে কৃষি, পরিবহন বা নির্মাণখাতে কাজে ঝুঁকে পড়ে। যাদের বেশিরভাগই আসে গ্রাম থেকে। আবার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো (এনজিও) গ্রামে গেলেও তাদের উন্নয়ন কর্মসূচি থাকে নারীদের ঘিরে। রাজনৈতিক সহিংসতা, অরাজকতা, বিরোধীদের ওপর নির্বিচার ধরপাকড় জীবন নিয়ে তৈরি করে আরও অনিশ্চয়তা।

সবচেয়ে বড় কথা, বাংলাদেশ একসময় তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ উৎপাদক দেশ ছিল- যেটা তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। কিন্তু ২০১৩ সালের রানা‍ প্লাজা ধসের পর কর্ম-পরিবেশ বিপজ্জনক ও শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি না দেওয়ার অজুহাতে পশ্চিমা ক্রেতারা এ দেশের তৈরি পোশাক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। বিদেশি ক্রেতাদের দাবির মুখেও এ খাতে আশাব্যঞ্জক উন্নতি না হওয়ায় ধুঁকছে পোশাকশিল্প। ফলে ধুঁকতে থাকা পোশাক খাতের কর্মীরাও খুঁজে চলছেন আরও ভালো কোনো কর্মক্ষেত্র।

সুতরাং
কর্মহীনতা ঘোচাতে স্বদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমানোর ধারা থাকলেও এখন সে জায়গাটাও সংকুচিত হয়ে পড়ায় বাংলাদেশিরা বিকল্প খুঁজছেন। এই বিকল্প তাদের কাছে হয়ে উঠেছে ইউরোপ। এই অবস্থায় এসে বলা যায়, এ বছর ইউরোপে ভাগ্যোন্নয়নের খোঁজে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে নেমে যে ১০০০ হাজার মানুষের সলিল সমাধি হয়েছে, তারা কেবল যুদ্ধবিধ্বস্ত কোনো দেশের ছিলেন না, ছিলেন দারিদ্র্য ও অর্থনৈতিক হতাশায় নিমজ্জিত কোনো দেশেরও নাগরিক। হতে পারে তাদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশের কোনো কোনো হতভাগ্য।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৮ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।