ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কাজলার তীরে আড়াইশ’ বছরের কড়ই

উত্তম ঘোষ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৬ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭
কাজলার তীরে আড়াইশ’ বছরের কড়ই কাজলার তীরে আড়াইশ’ বছরের কড়ই। ছবি: মানজারুল ইসলাম-বাংলানিউজ

আমঝুপি নীলকুঠি (মেহেরপুর) থেকে: মেহেরপুরের বুক চিরে বয়ে গেছে কাজলা নদী। আগের সেই খরস্রোত বেশ আগেই হারিয়ে ফেলেছে কাজলা।

তবে আমঝুপি নীলকুঠি এলাকায় ‘মরা’ কাজলার গা ঘেঁষে স্ব-মহিমায় দাঁড়িয়ে আছে ২৫০ বছর বয়সী ২০টি কড়ই গাছ।

ইংরেজ নীলকরদের হাতে লাগানো কড়ই গাছগুলো এখন ইতিহাসের সাক্ষী বহন করে।

স্থানীয়দের ভাষ্য, এখানকার বিশাল সানবাঁধানো ঘাটের উপস্থিতি বলছে- এক সময় বিরাট প্রভাবশালী ছিলো এই কাজলা। সুসময়ে তার বুকে বড় বড় নৌযান চলত। নদীর পাশে নীলকুঠি ভবন আর পশ্চিম পাশে রয়েছে ইংরেজ নীলকরদের কারেক্টরেট ভবন। উত্তরে দাঁড়িয়ে আছে নায়েবের ঘর। আর দক্ষিণে মেস কোয়ার্টারের পুরাতন জীর্ণ ভবন। সম্প্রতি ঝড়ে পুরাতন কালেক্টরেট ভবনের কিছু অংশ ধংসে গেছে। কাজলার তীরে আড়াইশ’ বছরের কড়ই।  ছবি: মানজারুল ইসলাম-বাংলানিউজনীলকুঠির কেয়ার টেকার বিল্লাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ১৯৮০ সালে তৎকালীন খুলনা বিভাগের কমিশনার আবু হেনা গাছগুলোর বয়স পরীক্ষা করেছিলেন। সে অনুযায়ী বর্তমান বয়স প্রায় ২৫০ বছর। এছাড়াও আম্রকাননের তিন শতাধিক গাছ লাগানো হয়েছিলো ১৯৮৯ সালের দিকে।

মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রশিদুল মান্নাফ বাংলানিউজকে বলেন, ঐতিহাসিক এই আম্রকানন, ইংরেজ নীলকরদের কালেক্টরেট ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনা পর্যটকদের দেখাতে এখানে তৈরি করা হচ্ছে ইকো পার্ক। আমঝুপি- মেহেরপুর।  ছবি: মানজারুল ইসলাম-বাংলানিউজসরেজমিনে জানা গেল, বাড়িটির বাইরে ৬৭ একর জমির উপরে গড়ে তোলা হচ্ছে এই ইকো পার্ক। সেখানে বর্তমানে রয়েছে তিনশতাধিক আম গাছ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭ খাদিজা-আশরাফ ফাউন্ডেশন
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।