ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ষোল টাকায় ২২শ’ পুকুর!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৯ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭
ষোল টাকায় ২২শ’ পুকুর! ষোল টাকায় ২২শ’ পুকুর!ছবি: মানজারুল ইসলাম-বাংলানিউজ

মেহেরপুরের গাংনী থেকে: ‘মাছে ভাতে বাঙালি’এই প্রবাদটা পুরোপুরি মিলে যাবে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ষোল টাকা মৎস্য গ্রামের সাথে। মাছ চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছেন এই গ্রামের নারী-পুরুষ।

মাছ চাষ করেই নিজেদের স্বাবলম্বী করার পাশাপাশি মানুষের আমিষের চাহিদা মেটাচ্ছেন তারা।

ষোল টাকা মৎস্য গ্রামের সবাই মাছ চাষ করেন।

যার কারণে প্রান্তিক পর্যাযে বিভিন্ন ধান চাষের ওপর নির্ভরশীলতা অনেকাংশে কমে গেছে।

শনিবার (২০ মে) বিকেলে সরেজমিনে ষোল টাকা মৎস্য গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, এ গ্রামের প্রায় সব বাড়িতেই রয়েছে ছোট বড় পুকুর। এক সময়ের পরিত্যক্ত এসব পুকুরে চলছে বাণিজ্যিকভাবে মাছের চাষ। পুকুরে মাছের খাবার দিচ্ছেন মাছ চাষি। রুই-কাতলা লাফালাফি করছে। এই মাছ চাষ করেই আর্থিকভাবে সচ্ছল হয়েছে প্রতিটি পরিবার। ষোল টাকায় ২২শ’ পুকুর!ছবি: মানজারুল ইসলাম-বাংলানিউজ
জোড় পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও পুকুর মালিক আনিসুর রহমান বলেন, ব্রিটিশ আমলে আশপাশের গ্রামের থেকে বেশি খাজনা উঠেছিল এ গ্রাম থেকে। সে খাজনার পরিমাণ ছিলো ষোল টাকা। সেই থেকে এই গ্রামের নাম হয় ষোল টাকা গ্রাম।

তিনি আরো বলেন, এই ষোল টাকা গ্রামে অনেক খাল-বিল-পুকুর রয়েছে। আশপাশের গ্রামের পুকুরে পানি চৈত্র মাসে শুকিয়ে যায়। কিন্তু ষোল টাকা গ্রামের পানি বার মাসই থাকে। কখনও শুকায় না। যার কারণে এ গ্রামের শত ভাগ মানুষ পুকুরে মাছে চাষ করেন। অনেকে ধানি জমিতে পুকুর করে মাছের চাষ করছেন। আর এ থেকে গ্রামের নাম হয়ে যায় ষোল টাকা মৎস্য গ্রাম। ষোল টাকায় ২২শ’ পুকুর!ছবি: মানজারুল ইসলাম-বাংলানিউজ
তিনি জানান, আগে তিনি শুধু শিক্ষকতা করতেন। পরে সবার দেখাদেখি মাছের চাষ শুরু করেন। মাছ চাষ করে এ গ্রামের সবাই স্বাবলম্বী। ষোল টাকা মৎস্য গ্রামে প্রায় ২২শ’ পুকুর রয়েছে।

মাছ চাষি আফজাল বলেন, এ গ্রামের সব বাড়িতে পুকুর রয়েছে। সেসব পুকুরে রুই, কাতলা, পাঙ্গাসসহ সব ধরনের সাদা মাছের চাষ করা হয়। এসব মাছ দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা এসে নিয়ে যান।  

মাছের খাবার তৈরির মিল মালিক সাহারুল বলেন, এ গ্রামে মাছের চাষ বেশি। আর সেই মাছের খাবারের চাহিদা মেটাতে এখানে ৪টি মৎস্য খাবার উৎপাদন মিল তৈরি করা হয়েছে। ষোল টাকায় ২২শ’ পুকুর!ছবি: মানজারুল ইসলাম-বাংলানিউজ
গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আমিরুল ইসলাম বলেন, এ অঞ্চলের মৎস্য গ্রাম হিসেবে পরিচিত ষোল টাকা, বানিয়পুকুরিয়া ও জুগিরগোফা গ্রাম। মাছ চাষ করেই এসব গ্রামের শত ভাগ মানুষ স্বাবলম্বী। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যায় এখানকার মাছ। খাদিজা-আশরাফ ফাউন্ডেশন

** কাজলার তীরে আড়াইশ’ বছরের কড়ই
** লোডশেডিং আড্ডায় শিয়ালের ডাক!
** যেখানে উদিত স্বাধীনতার সূর্য
** মেহেরপুর যেন আমের আরেক রাজধানী
** বাতাসে গোলাপের গন্ধ
** নতুন রূপে সাজছে মেহেরপুর পৌরসভা
** আম্রকাননের আমেই বিভিন্ন কোম্পানির আচার-জুস
** ইতিহাসের কাছে যাওয়া
** মানুষ দূরের কথা, সীমান্তে এখন পাখিও ওড়ে না!
** উপজেলার চেয়ে ছোট জেলা!
** বিজ্ঞানে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ নেই মেহেরপুর সরকারি কলেজে
** নির্মম সেই নীলকুঠি এখন পর্যটন কেন্দ্র
** ধ্বংসের মুখে উপাস সম্প্রদায়ের মন্দির
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭
এমআরএম/আরআইএস/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।