ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বই আছে, পাঠক নেই কুষ্টিয়া লাইব্রেরিতে!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৭
বই আছে, পাঠক নেই কুষ্টিয়া লাইব্রেরিতে! বই আছে, পাঠক নেই কুষ্টিয়া লাইব্রেরিতে!

কুষ্টিয়া: আলমারি ভর্তি বিভিন্ন ধরনের বই। তবে সেই বই পড়ার পাঠক নেই কুষ্টিয়া জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে। বসে পড়ার ব্যবস্থা থাকলেও বসার মানুষ নেই। তবে পাঠক নিবন্ধনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন গড়ে কতজন পড়তে আসেন তা জানা সম্ভব হয় না।

সরেজমিনে গেলে লাইব্রেরিয়ান শওকত হায়াত বাংলানিউজকে জানান, লাইব্রেরিতে বর্তমানে ৪০টি আলমারিতে ২১ হাজারের মতো বিভিন্ন ধরনের বই এবং একসঙ্গে ৩০-৪০ জনের বসে পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে সে তুলনায় পাঠক একেবারেই নেই।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের তুলনায় এখানে গবেষকরা বেশি আসেন। অন্য পাঠকদের বেশিরভাগ আসেন পত্র-পত্রিকা পড়তে। তবে সব মিলিয়ে সংখ্যা খুবই কম। বর্তমানে ইন্টারনেটের কারণে লাইব্রেরিতে এসে বই পড়ার পাঠক কমে গেছে।

শওকত হায়াত বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে পর্যাপ্ত বই আছে এখানে। তরুণ ও শিক্ষার্থীরাই সেসব বই পড়তে বেশি পছন্দ করেন। বিভিন্ন সাহিত্য ও গবেষণার বইয়েরও চাহিদা রয়েছে।

পাঠক কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষক দুলাল উদ্দিনের অভিযোগ, লাইব্রেরিটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। এখানে পাঠকদের বসার সুব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত জনবল নেই, স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদপত্রও খুবই কম। পরিষ্কার না করায় সর্বত্র ধুলা-বালির স্তূপ জমেছে, একটিমাত্র বাথরুম, তাও অপরিষ্কার। ভবনটির অবস্থাও ভালো নয়।

সব মিলিয়ে লাইব্রেরি চারপাশ ও ভেতরের পরিবেশ ভালো না হওয়ায় এখানে পাঠকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।

পত্রিকা পড়তে আসা নাজমুল হক বলেন, এখানে পর্যাপ্ত পত্রিকা নেই। বেশিরভাই পাঠকই তাদের পছন্দের পত্রিকা পান না। এসে যা পান, তাই পড়েন। লাইব্রেরিটিতে আরো পত্রিকা থাকলে ভালো হতো বলেও মনে করেন তিনি।

পত্রিকার সংখ্যা কম বলে স্বীকার করে লাইব্রেরিয়ান শওকত হায়াত জানান, আগে অনেক বেশি পত্রিকা রাখা হতো। কিন্তু বর্তমানে অর্থের অভাবে ৬টি জাতীয় দৈনিক এবং ২টি করে সাপ্তাহিক, মাসিক ও ত্রৈমাসিক পত্রিকা রাখা সম্ভব হয়। স্থানীয় দৈনিকের সৌজন্য সংখ্যাও আসে।

পাঠক সম্রাট ইসলাম বলেন, ‘লাইব্রেরিতে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে অনেক ভালো ভালো বই রয়েছে। আমার পছন্দ বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা বই। সময় পেলেই আমি এখানে বই পড়তে আসি’।

বাংলা‌দেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।