ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গোদাগাড়ীতে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ৫ জঙ্গির মৃত্যু

শরীফ সুমন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৭
গোদাগাড়ীতে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ৫ জঙ্গির মৃত্যু জঙ্গি ‍‌আস্তানার পাশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা- ছবি: বাংলানিউজ

গোদাগাড়ী থেকে: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ৫ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে আস্তানা থেকে বের হয়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা এ আত্ম‍াহুতি দেন।

এ সময় দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- এএসআই উৎপল ও কনস্টেবল তৌহিদুল ইসলাম।

এর আগে জঙ্গিরা ফায়ার সার্ভিস কর্মী আব্দুল মতিনকে (৪৯) বল্লম দিয়ে খুঁচিয়ে আহত করে। সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার হাসপাতালে নিয়ে গিলে তিনি মারা যান। এছাড়া আস্তানা থেকে জোবায়ের ও আপিয়া নামে দুই শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এর আগে সকাল থেকে আস্তানা থেকে জঙ্গিরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গ‍ুলি ছোড়ে

নিহত জঙ্গিরা হলেন- সাজ্জাত হোসেন (৫০), স্ত্রী বেলী বেগম (৪৫), ছেলে আল আমিন (২০) ও সোয়াহেব (২১), মেয়ে কারিমা (২২)।

অবশেষে বেলা ১১টায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করলেন জঙ্গি জহুরুলের স্ত্রী ও সাজ্জাতের মেয়ে সুমাইয়া (৩২)।
 

পুলিশ জানায়, আরো ৬ মাস আগে সুমাইয়ার স্বামী জহুরুলকে (৪৮) জঙ্গি সন্দেহে আটক করে রাজশাহী ডিবি পুলিশ। তাকে ঢাকায় পাঠানো হলে ডিবি সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে শ্বশুর সাজ্জাতের বাড়িতে অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিফজুল আলম মুন্সি।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১১ মে) ভোর ৫টা থেকে গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের মাছমারা বেনীপুর গ্রামের সাজ্জাত হোসেনের বাড়ি ঘিরে রাখে পুলিশ। এরপর থেকেই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে তারা।
 

ওসি হিফজুল আলম মুন্সি বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশ সদর দফরের দেওয়া তথ্যে তারা বাড়িটি ঘিরে রাখেন। বুধবার (১০ মে) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ওই বাড়িটি শনাক্ত কর‍া হয়। সেখানে ৫/৬ জন জঙ্গি থাকতে পারে বলে তাদের ধারণা হয়।
 

এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ওই বাড়ির মালিক হচ্ছেন সাজ্জাত হোসেন। দুই ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করেন। দুই মাস আগে মাঠের মধ্যে সাজ্জাদ ওই বাড়িটি তৈরি করেছেন। তবে তার দুই ছেলে আল আমিন ও তার ভাই সোহায়েব কৃষি কাজ করে এবং সাজ্জাদ ফেরি করে গ্রামে গ্রামে কাপড় বিক্রি করে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
 

ওসি বলেন, ভোর ৬টা থেকে একাধিকবার ওই বাড়ি থেকে বের হয়ে আসার জন্য হ্যান্ড মাইকে জঙ্গিদের আহবান জানানো হয়। কিন্তু কেউ বের হয়ে আসেনি।

গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ ওই বাড়িটি ঘিরে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন।

** গোদাগাড়িতে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়ি ঘেরাও
** গ্রামে জঙ্গি আস্তানায় হতবাক শতবর্ষী এহসান
** জঙ্গিদের ছোড়া বিস্ফোরণে ফায়ার সদস্যের মৃত্যু
** গোদাগাড়ীর পথে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট
** ফায়ার কর্মীর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা অনুদ‍ান
** গোদাগাড়ীতে নিহত পাঁচ জঙ্গির মরদেহ উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু
** গোদাগাড়ী বেনীপুরের আকাশে দুর্যোগের পূর্বাভাস

বাংলাদেশ সময়: ০৮১৬ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৭/আপডেট ১০২৯ ঘণ্টা
এসএস/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।