এভাবে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সী পড়ুয়াদের আনাগোনায় দিনভরই ব্যস্ত থাকে খাগড়াছড়ির জেলা পাবলিক লাইব্রেরি।
ঘড়ির কাঁটায় তখন বেলা পৌনে ১২টা।
কথা হয় খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী উম্রাচিং, ম্রসাং এবং জান্নাতুলের সঙ্গে। ৩ বছর ধরে স্কুল ছুটির পর এখানে আসে ওরা।
সরকারি চাকরিজীবী আব্দুল মোতালেব এসেছেন পত্রিকায় খেলার খবর পড়তে। স্কুল জীবন থেকে গ্রন্থাগারে এসে পত্রিকা দেখাটা অভ্যাস তার।
খাগড়াছড়ির আদালত সড়ক এলাকায় জেলা গ্রন্থাগারকে ঘিরে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, আদালত, প্রেস ক্লাব, পোস্ট অফিস, শিল্পকলা, শিশু একাডেমি, সদর থানাসহ গুরুত্বপূর্ণ সব প্রতিষ্ঠান এই গ্রন্থাগার ঘিরে। গ্রন্থাগারে রয়েছে ২৮ হাজার ৪শ’ ৪৫টি বই। প্রতিদিন রয়েছে ১২টি পত্রিকা ও ১৫টি সাময়িকী।
ললিতা রঞ্জন ত্রিপুরা দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে খাগড়াছড়ি জেলা গণগ্রন্থাগারের অফিস সহায়ক হিসেবে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, আমি যখন এখানে চাকরি পাই তখন পার্বত্য অঞ্চলে অশান্ত পরিস্থিতি ছিল। তখন অল্প কিছু বই ছিল। পাঠকের সংখ্যাও ছিল সীমিত। এখন বইয়ের সংখ্যা বেড়েছে, পাঠকের সংখ্যাও বেড়েছে। দায়িত্বও অনেক বেড়ে গেছে।
খাগড়াছড়ি জেলা গণগ্রন্থাগারের জুনিয়র লাইব্রেরিয়ান রিকেন চাকমা বলেন, আগের চেয়ে এখন গ্রন্থাগারের সুযোগ সুবিধা অনেক ভালো। স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাই বেশি। পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী নতুন নতুন বই আসছে। আগের চেয়ে পত্রিকা ও সাময়িকীর সংখ্যা বেড়েছে। দিন দিন পাঠকের সংখ্যাও বাড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
জেডএম/