কিন্তু কাগজে কলমে ৬ জন থাকার কথা থাকলেও এখন মাত্র দু’জন কর্মচারী আছেন রংপুর পাবলিক লাইব্রেরিতে। এদের একজন কেয়ারটেকার, অন্যজন ঝাড়ুদার।
পাবলিক লাইব্রেরির জরাজীর্ণ ভবনগুলো যেন জানান দেয়, এখানে একযুগের বেশি সময় উন্নয়ন হয়নি। নেই কোন কম্পিউটার, নেই ইন্টারনেট সুবিধা। এ সবের বরাদ্দ আছে কিনা তাও জানেন না সংশ্লিষ্টরা।
বই রাখার সেলফগুলো ভাঙ্গাচোরা। উইপোকা খাচ্ছে মূল্যবান সব বই। একসময় এই পাবলিক লাইব্রেরিতে প্রচুর পাঠক এলেও এখন তা নেমে এসেছে শূন্যের কোঠায়। লাইব্রেরির নিজস্ব আয়ের উৎস বলতে একটি হল রুম- যেটি বিভিন্ন প্রোগ্রামে ভাড়া দেয়া হয়। এছাড়াও মাঠ ভাড়া দিয়ে যা আয় হয় তা দিয়ে সাতটি পেপার নেয়া হয় পাঠকের জন্য।
এমনকি না আছে টয়লেট, না আছে পানি সাপ্লাইয়ের ব্যবস্থা।
পেপার পড়তে আসা পাঠক সাইফুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ দুই যুগ ধরে তিনি লাইব্রেরিতে আসেন পেপার পড়তে। আগে বই পড়া হলেও লোকবলের অভাবে তা বন্ধ রয়েছে।
বদরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক কামরুজ্জামান মুক্তা বলেন, ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত আমি পাবলিক লাইব্রেরিতে অনেক মূল্যবান বই পড়েছি।
কেয়ারটেকার আজিজুল ইসলাম সানু বলেন, আমরা অনেক কষ্টে আছি। মাসে বেতন পাই আড়াই হাজার টাকা। আর ঝাড়ুদার মদন পায় পাঁচশ’ টাকা।
রংপুর জেলা প্রশাসক ওয়াহেদুজ্জামান লাইব্রেরির বেহাল দশার কথা স্বীকার করে বলেন, দ্রুত এসটিমেট করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। বরাদ্দ পেলে সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
জেডএম/