কলেজ মোড়ের দোয়েল চত্বরে ১ হাজার ৬২৪ বর্গফুট জায়গা জুড়ে গ্রন্থাগারটির মূল ফটকের দু’পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৭টি দোকান এর সৌন্দর্যহানি ঘটিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা যায়, লাইব্রেরির সামনে লেখা ‘পড়িলে বই আলোকিত হই, না পড়িলে বই অন্ধকারে রই’ শ্লোগানটি বিবর্ণ হয়ে পড়েছে।
মূল ফটকের দু’পাশে ঝুলছে রঙ বেরঙ এর ব্যনার ও পোস্টার। ভবনটি আড়াল করে রেখেছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিশাল বিশাল সাইনবোর্ড ও ফেস্টুন। যেমন-ফুলের দোকান ফুলসজ্জ্যা ও মিম পুস্পালয়, কম্পিউটার হোমস, মজনু টেলিকম ইত্যাদি। সঙ্গে চায়ের দোকানও আছে।
ফুলসজ্জার মালিক আল আমিন, মিম পুস্পালয়ের আক্কাস আলী মানিকসহ ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ীরা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা দোকানগুলো মাসিক ভাড়ায় নিয়ে ব্যবসা করছি। এগুলোর মালিক কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা।
এখানকার লাইব্রেরিয়ান কেএম মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে বলেন, গতবছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনাগুলো গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার দখল হয়ে যায়। তবে সামনের অংশটি ফাঁকা থাকলে প্রতিষ্ঠানটি সহজেই জনসাধারণের দৃষ্টিগোচর হতো। পাঠকরা নির্বিঘেœ যাতায়াত করতে পারতো।
কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল ভৌমিক বাংলানিউজকে বলেন, কুড়িগ্রাম সরকারি পাবলিক লাইব্রেরির সামনের অংশটি দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধারে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়া হয় বিভিন্ন সময়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে উচ্ছেদ হয়নি। অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ হলে প্রতিষ্ঠানটি স্বকীয়তা ফিরে পেতো।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
জেডএম/