ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সরকারি জমির মাটিও বিক্রি হচ্ছে ইটভাটায় 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭
সরকারি জমির মাটিও বিক্রি হচ্ছে ইটভাটায়  সরকারি জমির মাটিও বিক্রি হচ্ছে ইটভাটায়-ছবি-বাংলানিউজ

গাজীপুর: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের জয়েরটেক এলাকায় সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমির মাটি খনন করে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় অবৈধভাবে সরকারি জমির মাটি বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি মহল।

এলাকাবাসী জানায়, জয়েরটেক এলাকায় সরকারি ও মালিকানাধীন কৃষি জমির মাটি এবং রাস্তার পাশের মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে একটি প্রভাবশালী মহল। ওইসব জমির মাটি কেটে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ফুট গভীর গর্ত করা হয়েছে।

এতে অনেক সরকারি রাস্তা ভেঙে গেছে, নষ্ট হচ্ছে কৃষি ক্ষেত। প্রভাবশালী মাটি ব্যবসায়ীরা স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় মাটি বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর কোনো অভিযোগ আমলে নিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। ওই এলাকার প্রভাবশালী রেফাজ উদ্দিন, নাসু মিয়া, আনোয়ার হোসেন, মো. সফি ও কামরুলসহ বেশ কয়েকজন মাটি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।  

সরকারি জমির মাটিও বিক্রি হচ্ছে ইটভাটায়-ছবি-বাংলানিউজপ্রতি ট্রাক মাটি ইটভাটায় বিক্রি করা হয় ৩ হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা দরে। এতে মাটি ব্যবসায়ীদের প্রতি ট্রাক মাটি ইটভাটায় পৌঁছাতে খরচ হয় এক-দেড় হাজার টাকা। ট্রাক প্রতি অবশিষ্ট দেড়-দুই হাজার টাকা লাভ থাকে ব্যবসায়ীদের। প্রতিদিন একটি ভেকু দিয়ে প্রায় ৮০ থেকে ১০০ ট্রাক মাটি কেটে বিক্রি করা যায়। জয়েরটেক এলাকায় প্রতিদিন ৮ থেকে ১০টি ভেকু দিয়ে মাটি কাটা চলছে।

স্থানীয় বাসিন্দা হাকিম উদ্দিন জানান, প্রভাবশালী মাটি ব্যবসায়ীরা ৬০-৭০ ফুট গভীর করে মাটি কেটে নিয়ে গেলে আমার ধান ক্ষেতের জমির ক্ষতি হয়। এভাবে আরো অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কৃষি জমির মাটি কাটায় এ এলাকায় আবাদ নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া এসব কৃষি জমি রক্ষা করা সম্ভব না। কৃষি জমি রক্ষার জন্য সরকার এবং প্রশাসনের কাছে তিনি দাবি জানান।

সরকারি জমির মাটিও বিক্রি হচ্ছে ইটভাটায়-ছবি-বাংলানিউজমাটি ব্যবসায়ী রেফাজ ও আনোয়ার জানান, আমরা সরকারি জমির মাটি কাটি না। নিজেদের জমির মাটি ও জমির মালিকের কাছ থেকে কিনে মাটি বিক্রি করি।  

এ ব্যাপারে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব ও এলএ) মো. মাহমুদ হাসান জানান, এ বিষয়ে তদন্ত করে সত্যতা পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭
আরএস/আরআর/আরআই  
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।