ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

হাওর বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনসহ ৫ দফা দাবি বিশেষজ্ঞদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭
হাওর বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনসহ ৫ দফা দাবি বিশেষজ্ঞদের হাওর বিষয়ক জাতীয় সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন প্রফেসর ড. মাহফুজ পারভেজ/ছবি: বাংলানিউজ

কিশোরগঞ্জ: হাওর রক্ষায় হাওর বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন, হাওরের জেলা-উপজেলাগুলোকে নিয়ে আলাদা প্রশাসনিক বিভাগ গঠনসহ পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে হাওর রক্ষায় অনুষ্ঠিত জাতীয় সেমিনারে সুষ্ঠু উন্নয়ন ও দুর্যোগ মোকাবেলার প্রয়োজনে এসব দাবি তোলেন।

পাঁচ দফার অন্য দাবিগুলো হলো- সমগ্র হাওরের জন্য ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন, এডিপি ও বাজেটে হাওরের জন্য বিশেষ বরাদ্দ এবং উন্নয়ন ও নির্মাণ কাজের বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও দুর্নীতি প্রতিরোধ করা।



দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত বিশেষজ্ঞ ও হাওরের সাম্প্রতিক অকাল বন্যাজনিত দুর্যোগের অভিজ্ঞতা থেকে বক্তারা বলেন, প্রাকৃতিকভাবেই বিশাল হাওর অঞ্চল একটি সমস্যাগ্রস্ত এলাকা। নিয়মিতভাবেই এখানে দুর্যোগ হয়। হাওরের মানুষের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রশাসনিক সহায়তার মাধ্যমেই বিপদ প্রতিরোধ করতে হবে।

এ লক্ষ্যে তারা জনগণের সঙ্গে প্রশাসনের নৈকট্যের তাগিদ দিয়ে বলেন, হাওরের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় ও আলাদা প্রশাসনিক বিভাগ হলে দুর্যোগ মোকাবেলা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন তৎপরতা আরও সমন্বিত ও কার্যকরী হবে।    

সেমিনারে জানানো হয়, ভৌগোলিকভাবে পাশাপাশি হলেও হাওরের ৩০টি উপজেলা পাঁচটি জেলা নিয়ে চারটি প্রশাসনিক বিভাগের অন্তর্গত। কিশোরগঞ্জ ঢাকা বিভাগে, সুনামগঞ্জ-হবিগঞ্জ সিলেট বিভাগে, নেত্রকোণা ময়মনসিংহ বিভাগে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া চট্টগ্রাম বিভাগের অধীন। ফলে বিপদের সময় সাহায্য ও সিদ্ধান্তের জন্য মানুষকে নানা দিকে ছুটতে হয়।

তাছাড়া এক স্থানের উন্নয়নের কুপ্রভাব আরেক জায়গায় পড়ছে। কিন্তু পরিকল্পনা ও দুর্যোগ প্রতিরোধের কাজটি একসঙ্গে করা যাচ্ছে না। সমন্বয়হীনতার ফলে সামগ্রিক হচ্ছে না বিচ্ছিন্ন তৎপরতার প্রভাব। অথচ কুপ্রভাব সবার ওপরই পড়ছে। কারণ বন্যা বা পাহাড়ি ঢল প্রশাসনিক সীমানা দেখে আসে না। ফলে সমগ্র হাওরকে একটি ইউনিটের আওতায় আনা অত্যাবশক।

হাওরের মানুষ, শস্য, প্রাণবৈচিত্র্য, সংস্কৃতি ও অস্তিত্ব বাঁচাতে সমগ্র হাওরবাসীকে নিয়ে একযোগে কাজ করার ব্যবস্থার আহ্বান জানান বক্তারা।

গণতন্ত্রী পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শহীদুল্লাহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মাহফুজ পারভেজ, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আবুল কাসেম, গবেষক ড. হালিম দাদ খান, রাজনীতিবিদ মাহামুদুর রহমান বাবু, নারী নেত্রী মায়া ভৌমিক, মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট গাজী এনায়েতুর রহমান প্রমুখ।    

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।