বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) অপারেশন ‘ইগল হান্ট’ চলাকালে বিকেল ৫টার কিছু আগে মেয়েসহ আত্মসমর্পণ করেন জঙ্গি রফিকুল ইসলাম ওরফে আবুর স্ত্রী সুমাইয়া। এরপরই তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
সুমাইয়াকে রাত দেড়টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তিনি শঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে পুলিশ।
নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে রাজশাহীতে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে পুলিশসূত্র দাবি করেছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশবক্সের ইনচার্জ এসআই শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, রাত দেড়টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার শিশুকন্যা সুরাইয়া ইসলাম সাজেদা এখনও চাপাইনবাবগঞ্জ হাসপাতালে রয়েছে।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকালে এই জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় পুলিশ। পরে সেখানে অভিযান চালাতে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে ঘটনাস্থলে যায় সোয়াট। তারা শেষ বিকেলে অভিযান শুরু করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থগিত করে। পরদিন সকালে অভিযান ফের শুরু হয়। অভিযানকালে জঙ্গি আস্তানার ভেতর থেকে দফায় দফায় গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যার আগে সমাপ্তি ঘটে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের।
বাংলাদেশ সময়:০২৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭
এসএস/এসআই/ জেএম