ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গণহত্যা দিবসের বিশ্ব-স্বীকৃতি আদায়ে সহযোগিতা দেবেন মোদী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭
গণহত্যা দিবসের বিশ্ব-স্বীকৃতি আদায়ে সহযোগিতা দেবেন মোদী গণহত্যা দিবসের বিশ্ব-স্বীকৃতি আদায়ে সহযোগিতা দেবেন মোদী

ঢাকা: একাত্তরের ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি আদায়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে ভারত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে এই আশ্বাস মিলেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই বাংলাদেশের পাশে থাকার এই আশ্বাস দেন বলে সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে সংসদভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভারত ও ভুটান সফর সংক্রান্ত উপস্থাপিত প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে ভারতের রাষ্ট্রপতিভবনে শেখ হাসিনার অবস্থানকে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে অনন্য উচ্চতার মাপকাঠি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

 
 
কমিটির সভাপতি ডা. দীপু মণির সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, মুহাম্মদ ফারুক খান, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, কাজী নাবিল আহমেদ, মো. সোহরাব উদ্দিন, সেলিম উদ্দিন এবং বেগম মাহজাবিন খালেদ অংশ নেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহিদুল হকসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
 
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে গত ৭-১০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, ভারত সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতিভবনে অবস্থান করেন। ভারতের রাষ্ট্রপতিভবনে অবস্থান করার আমন্ত্রণ খুব কমসংখ্যক বিদেশি সরকারপ্রধান পেয়ে থাকেন। বিষয়টি বাংলাদেশ ও ভারতে সম্পর্কে অনন্য উচ্চতার মাপকাঠি।
 
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লীস্থ পালাম বিমানবাহিনী ঘাঁটিতে পৌঁছলে প্রচলিত ভারতীয় রাষ্ট্রাচারের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে অভ্যর্থনা  জানান। এটিও ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা। ভারতে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী, সোনিয়া গান্ধীসহ কংগ্রেসের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি ভারতের প্রথিতযশা থিংক ট্যাঙ্ক ‘ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাও করেন। প্রতিবেদনে ভারতের সঙ্গে করা চুক্তিগুলো তুলে ধরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে মোট ৩৫টি দলিল (১১টি চুক্তি ও ২৪টি সমঝোতা স্মারক) এবং ২টি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এ.ও.পি) স্বাক্ষরিত হয় এবং দুই দেশ ৬২ দফা সংবলিত একটি যৌথ ইশতেহার প্রকাশ করে।
 
এদিকে বৈঠকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের আমন্ত্রণে গত ১৮-২০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভুটান সফর নিয়েও প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এ সফর একটি অফিসিয়াল সফর হলেও পরবর্তী সময়ে তাকে রাষ্ট্রীয় সফরে রূপান্তরিত করা হয়। এটিকে বাংলাদেশের জন্য একটি অনন্য মর্যাদা হিসেবে অখ্যায়িত করা হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭
এসএম/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad