ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

হাওরে দুর্যোগের অধীন সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৭
হাওরে দুর্যোগের অধীন সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল

ঢাকা: বন্যাকবলিত হাওর এলাকার ছয় জেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করেছে সরকার।
 
 

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বুধবার (২৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান।

তিনি বলেন, এ মন্ত্রণালয়ের যারা কর্মকর্তা রয়েছেন তাদের সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

স্ট্যান্ডবাই থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। কোনো প্রকার ছুটিছাটা নেই। বানভাসা মানুষের পাশে ২৪ ঘণ্টা থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

হাওরের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারের কাছে পর্যাপ্ত খাবার রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, একটি মানুষও যেন না খেয়ে মারা না যায়, সেজন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা জানি, কৃষকের এ সমস্যা ২-৪ দিন বা ২-৪ মাসের মধ্যে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব না। আগামী ফসল না ওঠা পর্যন্ত তাদেরকে খাদ্যসহ সব রকমের সাহায্য দোবো।
 
মন্ত্রী জানান, ১০০ দিনের যে কর্মসূচির আওতায় ৬ জেলার ৩ লাখ ৩০ হাজার অতি দরিদ্র পরিবারকে চিহ্নিত করা হয়েছে, এরা মূলত কৃষক। এখানে যোগ হবে জেলেরাও। ফলে এ সংখ্যা বাড়বে।  
 
মায়া বলেন, তাদের জন্য ৩০ কেজি করে চাল ও ৫০০ করে টাকা দেবো। চাল দিলেই হবে না, তেল-লবণ জিনিসপত্র দরকার, সেদিক বিবেচনা করে নগদ ৫০০ টাকা দিয়ে ১০০ দিনের কর্মসূচি শুরু করেছি।  
 
তিনি বলেন, যাদের অবস্থা অতি দরিদ্রদের চেয়ে ভালো, তাদের জন্য ওএমএসের আওতায় ১৫ টাকা কেজি দরে এক বছর চাল বিতরণ করার উদ্যোগ নিচ্ছে মন্ত্রণালয়। এছাড়া ১০ টাকা কেজিতে চাল প্রদানের কর্মসূচিও সেখানে থাকবে।
 
এনজিওগুলো ঋণের জন্য চাপ দেওয়া শুরু করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এনজিওরা অনেক জায়গায় চড়া সুদে ঋণ দিয়েছেন। তারা বারবার সুদের জন্য চাপ দেওয়া শুরু করেছেন। এখন তারা কষ্টে আছেন-তাদের উপর মরার উপর খাড়ার ঘা।  
 
ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আগামী এক বছর যেন সুদ নিয়ে কৃষকদের উপর কোনো চাপ সৃষ্টি না করে।  
 
গত সোমবার থেকে দু’দিন হাওর অঞ্চল ঘুরে মানুষের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, কৃষি পুনর্বাসন, বিদ্যুৎ বিল এক বছরের জন্য মওকুফ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির ব্যবস্থা করা, শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফ করা, বিল-হাওর ইজারামুক্ত করা, বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরে খালি পদে নিয়োগ দেওয়া, স্বল্প-মধ্য-দীর্ঘমেয়াদি পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করা, সময় মতো ফসল রক্ষা বাঁধ মেরামতের ব্যবস্থা করা, মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, নারীদের জন্য বিশেষ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।  
 
তিনি বলেন, এসব দাবির বিষয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। যেগুলো অন্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়, সেক্ষেত্রে আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করবো। যারা বিদ্যুতের বিল দিতে পারবে না, বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করবো।
 
তারা বলেছেন, গো-খাদ্য দেওয়ার জন্য। আমাদের মন্ত্রণালয়ের টাকা থেকে গো-খাদ্য কিনে দেওয়ার ব্যবস্থার জন্য বলেছি।  
 
হাওরের ফসলহানী দেশকে খাদ্য সংকটে ফেলবে কিনা- প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আমরা খাদ্যে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণই না, আমরা খাদ্যে উদ্বৃত। এ দুর্যোগসহ আগামীতে যদি আরও কোনো দুর্যোগ আসে, আমরা মোকাবেলা করতে সক্ষম।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৭/আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad