ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জীবনমানের উন্নয়নের কারণে গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৭
জীবনমানের উন্নয়নের কারণে গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে কর্মশালায় অতিথিরা-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: বাংলাদেশে জীবনমানের উন্নয়নের কারণে গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।

বুধবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘সেভিং অব লাইভস ফ্রম ড্রাউনিং (সলিড) ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি একথা বলেন।
 
সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্স বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি), জন হপকিংস ইন্টারন্যাশনাল ইনজুরি রিসার্স ইউনিট, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি), জন হপকিংস ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেল্থ, ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রোপিস যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।


 
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, জীবনমানের উন্নয়নের পেছনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেরও অবদান রয়েছে। মহিলা ও শিশুদের নিয়ে সরকারের প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় কাজ করছে। সরকারের পক্ষ থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রায় আঠার’শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। যারা প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিশুদের সুরক্ষা দিচ্ছে।
 
তিনি আরও বলেন, দেশে প্রতিবছর প্রায় ১২ হাজার শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতিবছর ৪৩ শতাংশ শিশুর মৃত্যু হচ্ছে পানিতে ডুবে। যাদের বয়স ১-৪ বছর। আর গড়ে প্রতিদিন এমন ঘটনা ঘটছে প্রায় ১২টি। তবে সলিড যে অঞ্চলে কাজ করেছে সেখানে পানিতে ডুবে ৮০ শতাংশ শিশুর মৃত্যুহার রোধ করা সম্ভব হয়েছে। যেখানে আগে ১০৫ শতাংশ শিশু পানিতে ডুবে মারা যেত। সেখানে এখন হার কমে ৪৩ শতাংশে এসেছে।  
 
চুমকি আরও বলেন, একটি শিশুর মৃত্যুর পেছনে অভিভাবকরা দায় এড়াতে পারেন না। শিশুরা কখন, কোথায় যাচ্ছে সেটা অধিকাংশ সময় অভিভাবকরা খেয়াল রাখেন না। অসাবধানতার কারণে সবচেয়ে বেশি শিশুর মৃত্যু হয়। শিশুদের প্রতি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া শিশু মৃত্যুর হার রোধ করা সম্ভব নয়।
 
স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, এখন শিশুদের জন্য আতঙ্ক হচ্ছে ড্রেন। প্রায়ই শোনা যায় ড্রেনে পড়ে শিশুরা মারা গেছে। আমাদের এখন সচেতন হতে হবে। এজন্য অভিভাবকদের সবার আগে সচেতন হতে হবে।  
 
অনুষ্ঠানে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পানিতে পড়ে শিশু মৃত্যুর হার রোধ করতে ২০১২ সালে সেভিং অব লাইভস ফ্রম ড্রাউনিং (সলিড) ইন বাংলাদেশ শীর্ষক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। বাংলাদেশের ৭টি উপজেলায় ৯ থেকে ৩৬ মাস বয়সী ৮০ হাজার শিশুদের এ প্রকল্পের আওতায় এনে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি শেষ হয়েছে ২০১৭ সালের জুনে।  
 
সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন, হেলথ ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড রিসার্স বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর এ কে এম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের (স্বাস্থ্য দপ্তরের) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফেসর এএইচএম এনায়েত হোসেন, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর’বি) উপ-নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ইন্টারন্যাশনাল ড্রাউনিং রিসার্স সেন্টার বাংলাদেশের পরিচালক ড. আমিনুর রহমান প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬,২০১৭
এসজে/আরআর/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।