ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিয়ানীবাজারে বিএনপি প্রার্থী এগিয়ে, চূড়ান্ত ফল স্থগিত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
বিয়ানীবাজারে বিএনপি প্রার্থী এগিয়ে, চূড়ান্ত ফল স্থগিত ফল ঘোষণা করছেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা। ছবি: আবু বকর

বিয়ানীবাজার (সিলেট) থেকে: সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরসভায় প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভোটগ্রহণের পর গণনা শেষে ফল ঘোষণাও হয়েছে। তবে মেয়র পদে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাত ৯টায় পৌরসভার ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে একটি ছাড়া বাকি ৯টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মু. মনির হোসেন। ফল ঘোষণায় বাদ পড়া কেন্দ্রটিতে ভোটই স্থগিত করা হয়।

মু. মনির হোসেনের ঘোষণা অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ভোটে মেয়র পদে এগিয়ে আছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. আবু নাসের পিন্টু। ধান প্রতীকে তিনি ভোট পেয়েছেন ৩ হাজার ৬২৫টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. আব্দুস শুকুর। নৌকা প্রতীকধারী এ প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ৩ হাজার ৪৭১।   

অপর মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে মো. তফজ্জুল হোসেন (জগ) পেয়েছেন ৩ হাজার ৩০৪ ভোট, আবুল কাশেম পল্লব (মোবাইল ফোন) পেয়েছেন ২ হাজার ১৮০ ভোট, জামায়াত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ জমির হুসাইন (রেল ইঞ্জন) পেয়েছেন ৬৯৮ ভোট, মো. আমান উদ্দিন (কম্পিউটার) ২৪ ভোট, মো. বদরুল হক (নারিকেল গাছ) ১২ ভোট এবং মো. শমসের আলম (মশাল) পেয়েছেন ৩৬ ভোট।
 
একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত থাকায় এখন পর্যন্ত এগিয়ে থাকা প্রার্থীকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা না করে ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে।  

এর কারণ হিসেবে মুনির হোসেন বলেন, স্থগিত হওয়া ৩নং কসবা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩ হাজার ৩৮৮ ভোট রয়েছে। আর বিজয়ী প্রার্থী মাত্র ১৫৪ ভোটে এগিয়ে আছেন। যে কারণে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এখনই ফলাফল ঘোষণা করা যাচ্ছে না।  

স্থগিত একটি কেন্দ্র ব্যতীত ৯টি কেন্দ্রে ভোট ছিল ২১ হাজার ৬৩৬টি। এরমধ্যে ১৩ হাজার ৫৯০ ভোট গ্রহণ করা হয়। এরমধ্যে বৈধ ভোট ধরা হয় ১৩ হাজার ৩৫০টি এবং বাতিল হয় ২৪০টি। নির্বাচনে শতকরা ৫৪ দশমিক ৩১ ভোট পড়েছে বলে জানান নির্বাচনী কর্মকর্তা।  

নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ৬৫ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।  

মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আমান উদ্দিন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. আব্দুস শুকুরকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।

এর আগে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন চলাকালে খাসা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ৩ জন এবং পিএইচজি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫ জনকে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে আটক করা হয়।  

প্রাথমিকভাবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলেও শেষভাগে জাল ভোট প্রদান ও সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে কসবা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। ওই কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ হাজার ৩৮৮ জন। কেন্দ্রটি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুস শুকুর প্রভাবিত এলাকার মধ্যে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।  

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
এনইউ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।