ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মুক্তিযোদ্ধারা পাবেন ৫ বছরের ভারতীয় ভিসা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
মুক্তিযোদ্ধারা পাবেন ৫ বছরের ভারতীয় ভিসা ভারতীয় ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার/ফাইল ফটো

ঢাকা: খুব শিগগিরই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভিসাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে নতুন সুবিধা চালু করছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর পরবর্তী সময়ে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে এ নতুন পদক্ষেপ।

ভারত ভ্রমণে ভিসার জন্য আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধারা খুব শিগগিরই পাবেন পাঁচ বছরের মাল্টিপল ভ্রমণ ভিসা। প্রবীণ হিসেবে ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে যাদের বয়স তারা এখনই পাঁচ বছরের ভিসা পাচ্ছেন।

নতুন নিয়মে সব বয়সী মুক্তিযোদ্ধা এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন।

৫ বছরের ভ্রমণ ভিসা পেতে ইচ্ছুক মুক্তিযোদ্ধারা অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়াই ভ্রমণ ভিসা আবেদনপত্র ঢাকার গুলশান আইভিএসি এবং ঢাকার বাইরে ৮টি (চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, খুলনা, যশোর, ময়মনসিংহ ও রংপুর) আইভিএসি-তে সরাসরি জমা দিতে পারবেন।

মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণপত্র: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইস্যু করা মূল মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বা মুক্তিযোদ্ধা সনদ (জমা দেওয়ার সময় আইভিএসি-তে দেখাতে হবে) এবং এর ফটোকপি আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযোজন করতে হবে।

ছবি শনাক্তকরণ: এক কপি ফটো আইডি/জাতীয় পরিচয়পত্র আবেদনপত্রের সঙ্গে থাকা বাধ্যতামূলক। এছাড়া ভ্রমণ ভিসার জন্য অন্য শর্তাবলী অপরিবর্তিত থাকবে।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকার গুলশানে ভারতীয় হাইকমিশন ভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে একথা জানান।

প্রাথমিক পর্যায়ে শুধু গুলশান ভিসা কেন্দ্রে পাইলট প্রকল্প হিসেবে আলাদা কাউন্টার থাকবে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য। অনলাইনে ভিসা ফরম পূরণ যেহেতু খুব সহজ নয়, সেজন্য ভিসা কেন্দ্রে বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তার জন্য থাকবে বিশেষ হেল্প ডেস্ক।

চলতি মাসের ৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাত ভারতীয় সেন‍াকে সম্মাননা জানানো হয় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। তাদের পরিবার এ সম্মাননা গ্রহণ করে। এ সম্মাননা নিতে ঝাড়খণ্ড থেকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে দিল্লি যান শহীদ ল্যান্স নায়েক অ্যালবার্ট এক্কার বৃদ্ধা স্ত্রী। অনেক কষ্টে জীবনযাপন করা এই নারী বিয়ের ১৫ দিন পর হারান স্বামীকে। তবে জানতে পারেন অনেক পরে। তাকে দেখে, তার কথা শুনে সেসময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শেখ হাসিনা ও মোদি।

এ সম্মাননা জানানোয় বাংলাদেশের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এছাড়া দুই দেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের অংশ হিসেবে ‍বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে ভারতের সেরা ক্যানসার হাসপাতাল টাটা মেমোরিয়ালে ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে ভারত। মুক্তিযোদ্ধারা ভারত সরকারের খরচে পাবেন চিকিৎসা। প্রতি বছর এ সুবিধা পাবেন একশোজন মুক্তিযোদ্ধা।

গত পাঁচ বছরে ভারত সরকার বাংলাদেশ থেকে ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ দিয়েছে। এই সংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে বলে জানায় হাইকমিশন সূত্র। আর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানসহ চার প্রজন্ম স্কলারশিপের জন্য পাবে বিশেষ কোটা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।