সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় তাদের এমন হুঁশিয়ারি বিয়ানীবাজার পৌরশহরের ভাঙা রাস্তা নিয়ে। রাত পোহালেই ভোট।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙা রাস্তায় ৪/৫ বছর বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে তাদের। মন্ত্রী, পৌর প্রশাসক কেউই রাস্তা চলাচলের উপযোগী করে দেননি। সি গ্রেড থেকে বি-গ্রেডে উন্নীত হওয়া পৌরসভার অবস্থা যেনো লেজেগোবরে। রাস্তার পাশ ঘেঁষে গড়ে ওঠা ফুটপাত নিয়েও চলে ভোটের রাজনীতি। শহরের সবক’টি সড়কের ভাঙা অবস্থার দুর্ভোগ দীর্ঘদিনের বলে জানিয়েছেন খাসারি পাড়ার বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার। এ বিড়ম্বনা থেকে ক্ষোভ জন্মেছে সাধারণ ভোটারদের মনে। এজন্য অবশ্য কেউ কেউ তফজ্জুলকে দোষারোপ করে বলছেন, প্রশাসক হিসেবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখায় রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়নি। তবে এজন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসেবে শিক্ষামন্ত্রীর উপরও ক্ষোভ ঝেড়েছেন অনেক ভোটার। ভোটারদের অভিযোগ-এতোদিন উন্নয়ন নিয়ে আমাদের সঙ্গে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে, ইবার আমরাও বুঝাইমু।
ভোটারদের এমন ক্ষোভের আগুন লাগতে পারে তফজ্জুল নয়তো ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী আব্দুস শুকুরের ভোট বাক্সে। এমনটি ধারণা করছেন নির্বাচন বিশ্লেষকরা।
সরেজমিন দেখা যায়, পৌর শহরের প্রবেশদ্বার আব্দুল্লাহপুর, কসবা গ্রামের সামনের রাস্তা থেকে শুরু করে পৌর শহরের সবক’টি সড়কের বেহাল অবস্থা। খানাখন্দে ভরা সড়ক। রাস্তার গর্তগুলোতে পানি জমে বিপজ্জনক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহন চলছে হেলেদুলে।
তবে প্রথমবারের মতো নির্বাচন হতে যাওয়া বিয়ানীবাজারের ভোটারদের মধ্যে যেনো অন্যরকম এক আমেজ লেগেছে। যেনো এবারই প্রথম ভোটের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ হয়েছে তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
এনইউ/জেডএস