একইসঙ্গে গাইডলাইন অনুসরণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিএনপিএস’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে কর্মশালায় এ আহ্বান জানানো হয়।
কর্মশালায় গণমাধ্যম নিয়ে সংস্থাটির কাজের পটভূমি তুলে ধরে খসড়া গাইডলাইনটি উপস্থাপন করেন সমন্বয়কারী মুজিব মেহদী।
আলোচনায় অংশ নেন বিএনপিএস’র পরিচালক মাহফুজুল বারী চৌধুরী, উপ-পরিচালক শাহনাজ সুমী ও সমন্বয়কারী ফয়সাল বিন মজিদ এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিখিল ভদ্র, সাংবাদিক সাকিলা পারভীন প্রমুখ।
কর্মশালায় উত্থাপিত বক্তব্যে বলা হয়, গাইডলাইনে নারী নির্যাতন বিষয়ক সংবাদের কাভারেজ, সহিংসতার শিকার নারীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও সংবাদে তাকে উপস্থাপন, দায়ী ব্যক্তির উপস্থাপন, আলোকচিত্রী ও চিত্রগ্রাহকের দায়িত্ব, সহ সম্পাদকের দায়িত্ব, গণমাধ্যমের সম্পাদকীয় নীতি ইত্যাদি বিষয়ক নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। যা অনুসরণ করলে নারীর প্রতি সহিংসতার মাত্রা কমে আসবে।
গাইডলাইনটির বিষয়ে ইতিবাচক মতামত ব্যক্ত করে আলোচকরা বলেন, গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টদের ব্যাপকভাবে গাইডলাইটি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা গেলে নারী নির্যাতন বিষয়ক সংবাদকে জেন্ডার সংবেদনশীল করায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়া গাইডলাইনের টেক্সট ভার্সন গণমাধ্যমে প্রকাশের উদ্যোগ নিলে এটি সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
বিএনপিএস বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টদের ব্যবহারোপযোগী এ ই-নির্দেশিকাটির খসড়া তৈরি করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক মফিজুর রহমানের তত্ত্বাবধানে সম্পাদিত গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রণীত খসড়াটি আলোচনা শেষে চূড়ান্ত করা হয়। যা অচিরেই অনলাইনে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
এসএম/আরআর/এএসআর