ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

স্থানটি এখন কচুরিপানা আর ময়লার ভাগাড়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
স্থানটি এখন কচুরিপানা আর ময়লার ভাগাড় রানা প্লাজা ধসের ৪ বছর পূর্ণ হলো সোমবার/ছবি: বাংলানিউজ

সাভার (ঢাকা): বহুল আলোচিত রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির কথা মনে পড়লেই ঘা শিউরে ওঠে। চোখের সামনে ভেসে ওঠে হাজার হাজার মানুষের আর্তনাদ আর চিৎকার। ভয়ঙ্কর এই ট্র্যাজেডি গোটা বিশ্বকেই কাঁপিয়ে দিয়েছিলো। 

চার বছর আগের এই ২৪ এপ্রিল। ঠিক তার আগের দিনেই কারখানাটিতে ধরা পড়েছিল বিশাল ফাটল।

পরের দিন কাজে যোগ দিতে গিয়েও থেমে যায় শ্রমিকরা। কিন্তু তাদেরকে ভয় দেখিয়ে বেতন কর্তনের কথা বলে কাজ করাতে বাধ্য করা হয়। অসহায় এসব মানুষগুলোকে জোর করেই নামানো হয়েছিলো রানা প্লাজা নামক মৃত্যুকূপে।

সে যেন এক বিভীষিকাময় গল্প। ইট কংক্রিটে চাপা পড়ে জড়ে যায় এগারো শতাধিক তাজা প্রাণ। জীবন ফিরে পেলেও পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয় আরও শত শত শ্রমিককে। এখনো অনেকে ফিরে আসতে পারেনি তাদের স্বাভাবিক জীবনে। করতে পারে না কোনো কাজকর্ম। বেকার জীবন অতিবাহিত করছে পরিবার পরিজন নিয়ে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভবন স্থলটি এখন একটি ছোট জলাভূমিতে পরিণত হয়েছে। পেছনের পুরো জায়গাটা এখন কচুরিপানার দখলে। ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে ময়লার ভাগাড়। কখনও আবার হয়ে উঠে মাদক সেবনের নিরাপদ স্থান। এর আগে একাধিকবার ভবনের জায়গায় টিন ও কাটাতারের বেড়া দিয়েও কোনো লাভ হয়নি বলে জানায় সাভার উপজেলার একটি সূত্র। তাই পুরোটাই এখন উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

এখানকার জলাশয়ে জন্মানো কচুরিপানা নিতে এখন সেখানে অনেকেই নৌকা নিয়ে আসেন। অনেক কিছুই বদলে গেছে এখানকার কিন্তু বদলায়নি শুধু স্বজন হারানোদের বুকচাপা কান্না আর আর্তনাদ।

রানা প্লাজাএছাড়া রানা প্লাজার সামনে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে একটি স্থায়ী স্তম্ভ তৈরির কথা কথা থাকলেও তা হয়নি। অস্থায়ীভাবে তৈরি হয়েছে একটি স্মৃতি স্তম্ভ। কিন্তু সেটিও আছে খুবই জরাজীর্ণ অবস্থায়।  

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধ্বসে এগারো শতাধিক পোশাক শ্রমিক। আহত হন প্রায় দুই হাজারেরও বেশি শ্রমিক। এখনো অনেকে রয়েছেন নিঁখোজ। ভবন ধ্বসের পর পর মালিক রানা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেফতার হন। কিন্তু চার বছর পার হলেও হয়নি কোনো বিচার। রানা প্লাজার ৫২ শতাংশ জমি সরকার বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৬৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
জিপি/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।