ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাঁধ ভাঙার খবর পেয়ে ধান কাটতে গিয়ে দেখি সব শেষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৭
বাঁধ ভাঙার খবর পেয়ে ধান কাটতে গিয়ে দেখি সব শেষ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বৃহৎ শনির হাওর

সুনামগঞ্জ: শত শত মানুষের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে ভেঙে গেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বৃহৎ শনির হাওরের বাঁধ। ফলে তলিয়ে গেছে আধা পাকা বোরো ধান।

রোববার (২৩ এপ্রিল) সকালে শনির হাওরের সাহেব নগর পূর্বপাড় ও লালুর গোয়ালা পয়েন্টের বাঁধ ভেঙে হাওরের ভেতরে পানি প্রবেশ করে তলিয়ে গেছে শনি হাওরের প্রায় ৯ হাজার হেক্টর জমির আধা পাকা বোরো ধান।

অতি বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার সবগুলো হাওর পানিতে তলিয়ে গেলেও কৃষকদের একমাত্র সম্বল ছিল শনির হাওরের বোরো ধান।

বাঁধ রক্ষার জন্য হাওর পাড়ের শত শত কৃষক ২৬ দিন ধরে শনির হাওরের বাঁধে দিনরাত পরিশ্রম করে মাটি ফেলে বাঁধ ঠিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে গেছেন। কিন্তু ফসল রক্ষা করতে পারেননি।
শনির হাওরের বোরো ফসল হারিয়ে হাওর পাড়ের কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। শনির হাওর পারের ভাটি তাহিরপুর গ্রামের কৃষক সামায়ুন কবির বলেন, বাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়ে ধান কাটতে হাওরে গিয়েছিলাম কিন্তু গিয়ে দেখি জমির ফসল পানির নিচে। আমরা এখন কি করব?
শনির হাওর পাড়ের অনেক কৃষক জানান, এ উপজেলার সবচেয়ে বড় হাওরটিকে ঠিকিয়ে রাখার জন্য গত তিন সপ্তাহ ধরে হাওর পাড়ের মানুষ বাঁধের কাজ করেছি। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।

তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুছ ছালাম বাংলানিউজকে জানান, শনির হাওরের বাঁধ ভেঙে ৯ হাজার হেক্টর জমির আধা পাকা বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। টাকার অংকে এই হাওরে ধানের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় একশ’ কোটি টাকার কাছাকাছি।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, শনির হাওরের বাঁধ রক্ষার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্ত শেষ পর্যন্ত বাঁধটি ঠিকিয়ে রাখা গেল না।
এর আগে জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার পাগনার হাওর ছাড়া সবক’টি হাওরের ফসল পানির নিচে তলিয়ে যায়। সব শেষ তাহিরপুরের শনির হাওরটি ডুবে গেল। অন্য হাওরের কৃষকের মত ধান হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন শনির হাওর পাড়ের কৃষকরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।