ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অনুসন্ধান থেকে শিক্ষা নেওয়া ছাড়া কিছু কর‍ার নেই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৭
অনুসন্ধান থেকে শিক্ষা নেওয়া ছাড়া কিছু কর‍ার নেই সচিবালয়ের মন্ত্রণালয় কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ

ঢাকা: হাওরে অকাল বন্যার কারণ অনুসন্ধান থেকে শিক্ষা নেওয়া ছাড়া আমাদের আর কিছু কর‍ার নেই বলে মন্তব্য করেছেন, পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

রোববার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে সচিবালয়ের মন্ত্রণালয় কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, এবার মার্চ মাসের ২৯ তারিখ থেকে চারদিনে সুরমা নদীতে পানি বেড়েছে ৮ দশমিক এক মিটার এবং সুনামগঞ্জে পানি বেড়েছে ৫ মিটারেও বেশি।

হাওর অঞ্চলে যে ৩৬টি পোল্ডার আছে এগুলোর গড় উচ্চতা সাড়ে ৬ মিটার। অথচ পানির ওভার টপিং হয়েছে ৮ মিটারেরও ওপরে। এতে সকল বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও আমরা এ বন্যা ঠেকাতে পারতাম না।

জলবায়ু পরির্বতনের কারণে এবারের বন্যা হয়েছে বলে মনে করেন পানিসম্পদ মন্ত্রী। তিনি বলেন, গত ২০ বছরের মধ্যে এই সময় এরকম বন্যা হয়নি। মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে মার্চের শেষ ৯ দিনে ১১শ’ মিলিমিটার সিলেটে সাড়ে ৪শ’ মিলিমিটার এবং সুনামগঞ্জে ৫শ’ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

বাঁধ নির্মাণ কাজে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে মন্ত্রণালয় তা ক্ষতিয়ে দেখছে বলে জানান পানিসম্পদ মন্ত্রী।

ফসলহানি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, দেশে মোট বোরো উৎপাদনের ছয়ভাগের একভাগ উৎপাদন হয় এই হাওর অঞ্চলে। প্রতিবছর দশভাগের মতো বন্যার পানিতে ফসল নষ্ট হয়। কিন্তু এবার শতভাগ ফসল নষ্ট হয়েছে।

হাওর অঞ্চলে উচ্চ ফলনশীল ব্রি-২৯ জাতের ধান চাষ হয়, যা উৎপাদনে ১৬০ দিন সময় লাগে। যাতে কম সময় লাগে এমন ধান চাষের উদ্যোগ নিতে হবে বলেও জানান পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৭
আরএম/জিপি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad