ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাওদা হত্যা মামলায় ২০ জনের বক্তব্য নিলো সিআইডি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৭
রাওদা হত্যা মামলায় ২০ জনের বক্তব্য নিলো সিআইডি রাওদা আতিফ

রাজশাহী: মালদ্বীপের মডেল ও মেডিকেল কলেজ ছাত্রী রাওদা আতিফের (২০) হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বিভিন্ন অসঙ্গতি সামনে আসলেও হত্যা প্রশ্নে এখন পর্যন্ত কোনো স্পষ্ট ধারণায় পৌঁছাতে পারছে না তারা। 

তবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলার তদন্ত কাজ দ্রুত শেষ করতে চাচ্ছে পুলিশের এই বিশেষায়িত সংস্থাটি। শনিবার (২২ এপ্রিল) ওই মেডিকেল কলেজের হোস্টেল সুপার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ ২০ জন শিক্ষার্থীর বক্তব্য নেন তারা।

 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক আসমাউল হক বাংলানিউজকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি বলেন, রাজশাহী সিআইডি কার্যালয়ে কলেজের পরিবহনে করে ২৩ জন আসেন। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তাদের সেখানে রাখা হয়। তদন্তের অংশ হিসেবে এর মধ্যে হোস্টেল সুপার মাহমুদা বেগম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুল আজিজ রিয়াজ মামলার অভিযুক্ত আসামি সিরাত পারভিনসহ ২০ জনের বক্তব্য নেওয়া হয়। প্রথমে একসঙ্গে ও পরে আলাদা করে তাদের বক্তব্য গ্রহণ করে সিআইডি।  

হোস্টেলের ওই ব্লকে থাকা মালদ্বীপের ছয়জনসহ ১৪ জন বিদেশি শিক্ষার্থী এবং একই বিভাগের অন্য শিক্ষার্থীরও বক্তব্য গ্রহণ করা হয়।
এদিকে, চিঠি দেওয়া ওই তিন চিকিৎসককে নিয়েই রাওদার মরদেহের পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য নতুন করে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে শনিবার। আগামী সোমবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে রাওদার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করবে সিআইডি। এর মধ্যে সিলিং ফ্যানের পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যাবে বলেও জানান এই তদন্ত কর্মকর্তা।      

রাওদার মরদেহের পুনরায় ময়নাতদন্তে গঠন করা নতুন বোর্ডে রয়েছেন- সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আমিরুল চৌধুরী ও নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাহবুব হাফিজ এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাফিজুর রহমান।  

গত বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সিআইডির উচ্চ পর্যায়ের একটি দল রাওদার কক্ষে যায়। কক্ষ থেকে পরীক্ষার জন্য সিলিং ফ্যানটি জব্দ করা হয়েছে। ওই ফ্যানেই ঝুলে রাওদা আত্মহত্যা করেছেন বলে বলা হচ্ছে। তাই এটি পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে, ৫০-৫৫ কেজি ওজনের রাওদা আদৌ ফ্যানে ঝুলেছিল কি না। এছাড়া মেডিকেল কলেজ থেকে গত বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) পুরো হোস্টেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও জব্দ করা হয়েছে। এর পরেই কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নেয় সিআইডি।

এর আগে গত ২৯ মার্চ রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের মহিলা হোস্টেলের ২০৯ নম্বর কক্ষ থেকে রাওদার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  

৩১ মার্চ দুপুরে রামেক হাসপাতাল মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।  

পরে ১ এপ্রিল দুপুর সোয়া ২টার দিকে মহানগরীর হেতেমখাঁ গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ সময় পরিবারের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।  

রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১৩তম ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন রাওদা। বিদেশি কোটায় ভর্তির পর গত বছরের ১৪ জানুয়ারি মহিলা হোস্টেলের ২য় তলার ওই কক্ষে উঠেছিলেন রাওদা।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৭
এসএস/আরআর/বিএস 
 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।