ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

স্বল্প দূরত্বের যাত্রীদের ভোগান্তি   

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৭
স্বল্প দূরত্বের যাত্রীদের ভোগান্তি    স্বল্প দূরত্বের যাত্রীদের ভোগান্তি-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজধানীতে চারদিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার থেকে আবারও চালু হয়েছে সিটিং সার্ভিস। চালু হলেও ভোগান্তিতে পড়েছেন স্বল্প দূরত্বের যাত্রীরা। সিটিং সার্ভিসে উঠলেই এখন ভাড়া গুণতে হচ্ছে সর্বনিম্ন ১০ টাকা। আবার ভাড়া দিলেও স্বল্প দূরত্বের যাত্রীদের তোলা হচ্ছে না এই সিটিং সার্ভিসে।

শনিবার ( ২২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ফার্মগেট ও শাহবাগ এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়।  

ফার্মগেটে দীর্ঘ সময় বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন সুমাইয়া ইসলাম।

বনানীতে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু সিট খালি থাকলেও কোনো সিটিং সার্ভিসে উঠতে দিচ্ছে না।  লোকাল বাসে দাঁড়িয়ে যাওয়াটাও কষ্টকর।  

আক্ষেপের সুরে বলেন, সিটিং সার্ভিসে যেন সবাই উঠতে পারে তার একটা বিহিত করা প্রয়োজন। স্বল্প দূরত্বের যাত্রীরা কি যাত্রী নয়!

বাসের জন্য শাহবাগ মোড়ে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন রায়হান আলম। সিটিং সার্ভিসের সেবা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, যেগুলো বাস আগে লোকাল চলতো সেগুলো রং বদলিয়ে হয়ে গেছে সিটিং সার্ভিস। প্রতিদিন শাহবাগ থেকে উত্তরায় অফিস করেন তিনি। গুলিস্তান থেকে ছেড়ে আসা ‘এয়ারপোর্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ পরিবহন লিমিটেড’ চলাচল করে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত। এতে শাহবাগ থেকে উত্তরা পর্যন্ত ভাড়া ৩৫ টাকা। কিন্তু লোকালে গেলে লাগে ২০ টাকা। এই বাসে স্বল্প দূরত্বে গেলেও ভাড়া ১০ টাকা। তবে তারা স্বল্প দূরত্বের কোনো যাত্রীকে সাধারণত তোলে না। আর কেউ ভুল করে উঠলেই তাকে গুণতে হয় বেশি ভাড়া।  

শাহবাগ মোড়ে কথা হয় ‘এয়ারপোর্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ পরিবহন লিমিটেড’ এর চেকারের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, তাদের সব নতুন বাস। আর সেবার মান ভালো তাই ভাড়া একটু বেশি। স্বল্প দূরত্বের যাত্রী কেন তোলা হয় না জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাড়ি চলে ডাইরেক্ট। কোথাও দাঁড়ায় না। তাই স্বল্প দূরত্বের যাত্রী তোলা হয় না।

অন্যদিকে রাজধানীর অন্য রুটে চলাচলকারী লাব্বাইক, ওয়েলকাম, স্বাধীন এক্সপ্রেস, ঠিকানা এক্সপ্রেস, ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা হলেও তারা স্বল্প দূরত্বের যাত্রী তোলেন না।  ফলে ভাড়া বেশি দিয়েও দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
 
এদিকে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) হিসাব মতে, রাজধানীর অভ্যন্তরীণ রুটে নিয়মিত চলাচল করে প্রায় ছয় হাজার বাস। আর ঢাকা মহানগরে বিআরটিএ এর নির্ধারিত সর্বনিম্ন ভাড়া বাসের জন্য ৭ টাকা আর মিনিবাসের জন্য ৫ টাকা। অথচ সিটিং সার্ভিসের বাসগুলোতে সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা থেকে ক্ষেত্র বিশেষে ৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৭
এসজে/আরআর/বিএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।