ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কাফরুলে জুয়ার আসরে ডিবির ডাকাতির সত্যতা প্রাথমিক তদন্তে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৭
কাফরুলে জুয়ার আসরে ডিবির ডাকাতির সত্যতা প্রাথমিক তদন্তে

ঢাকা: রাজধানীর কাফরুলের একটি ক্লাবে জুয়ার আসরে হানা দিয়ে ডাকাতি করতে গিয়েই আটক হয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ১১ সদস্য। অপরাধ দমন নয়, অপরাধ সংগঠনেই তারা ওই ক্লাবে গিয়েছিলেন, এমনটাই নিশ্চিত হওয়া গেছে। 

প্রাথমিক তদন্তেও ওই ক্লাবে তাদের ডাকাতি করতে যাওয়ার সত্যতা মিলেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।  

এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বরাবর একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছে কাফরুল থানা পুলিশ।

তাতেও উঠে এসেছে ডিবির ওই সদস্যদের অপরাধের বিষয়টি।  

প্রতিবেদনে পরিচয় হিসেবে তাদের ১০ জনকে ডিবি পুলিশের সদস্য এবং একজনকে গাড়িচালক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।  

এরা হলেন, ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) রুহুল আমীন, পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল ইসলাম, এসআই লুৎফর রহমান, এসআই মাহবুবুর রহমান, এসআই তোফাজ্জল হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল লতিফ, কনস্টেবল আজিজুল হক, কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলম খান, কনস্টেবল জাহিদুল ইসলাম এবং তাদের গাড়িচালক জিল্লুর রহমান।

রুহুল আমিন এই ডাকাতির ঘটনায় নেতৃত্ব দেন বলেও এতে উল্লেখ রয়েছে।  এরই মধ্যে এসি রুহুল আমিনসহ ৮জনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে ডিএমপি।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়,  মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর কাফরুলের পুলপাড়ে রশিদ কমপ্লেক্সের চতুর্থ চলায় নিউ ওয়েব ক্লাবের জুয়ার আসরে হানা দেয় এসি রুহুল আমীনের নেতৃতে দলটি। সেখানে তারা যৌথ বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি করে।  ক্লাবে অবস্থানরত ব্যক্তিদের কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা নিয়ে পালানোর সময় মিলিটারী পুলিশের (এমপি) হাতে ১১ জনই আটক হন।

সূত্র জানায়, ডাকাতির সময় নিজেদেরকে যৌথ বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিলেও পরে তারা মিলিটারি পুলিশের কাছে ডিবি পরিচয় নিশ্চিত করে, এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।  

এ ঘটনায় বুধবার (১৯ এপ্রিল) ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার জামিল আহম্মেদকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। কমিটির অন্য দুজন সদস্য হলেন ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায় এবং মিরপুর বিভাগের ডিসি মাসুদ আহাম্মদ।  তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।  

সূত্র জানিয়েছে, কমিটি তার কাজ শুরু করেছে। এবং প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।  

তবে এ বিষয়ে মিরপুর বিভাগের ডিসি মাসুদ আহাম্মদের কাছে জানতে চাওয়া হলে বলেন, ‘তদন্ত চলছে, এখনই কিছু বলার সময় হয়নি।

**র‌্যাব পরিচয়ে ডিবির চাঁদাবাজি, এসিসহ ১১ জন পুলিশে

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৭
পিএম/এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।