ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নজরদারি বাড়াতে অনলাইনে মাদক সন্ত্রাসীদের তথ্য

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৭
নজরদারি বাড়াতে অনলাইনে মাদক সন্ত্রাসীদের তথ্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিচালক সালাহউদ্দিন মাহমুদ-ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: মাদক সন্ত্রাসীদের ওপর নজরদারি আরও সহজ করতে তাদের হালনাগাদ তথ্য শিগগির অনলাইনে আসছে বলে জানিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক সালাহউদ্দিন মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

মাদক সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার হওয়ার পর জামিনে বের হয়ে আবার একই কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে।

এক্ষেত্রে তাদের নজরদারিতে রাখার কোনো ব্যবস্থা আছে কি না জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন মাহমুদ বলেন, আমরা শিগগির একটি অনলাইন সিস্টেম চালু করছি, যেখানে তাদের সব ধরনের হালনাগাদ তথ্য রাখা হবে।

তিনি বলেন, এখন আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত আছে। এটা অনলাইনে এলে অন্য বাহিনীর সঙ্গে কানেক্ট করা সহজ হবে এবং তাদের ওপর নজরদারি আরও সহজ হবে।

আমরা এখনো নজরদারি অব্যাহত রেখেছি। কম্পিউটারাইজড হলে আরও বেশি নজরদারি সম্ভব হবে- উল্লেখ করেন তিনি।

সালাহউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বিশেষজ্ঞ একটি টিম কাজ করছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে একটি ল্যাব প্রতিষ্ঠাসহ বিভাগটিকে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করা হবে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত বছরের মার্চের তুলনায় এবারের মার্চে মাদকদ্রব্য জব্দ, আসামি আটক ও মামলা প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। ইয়াবা জব্দ বেড়েছে প্রায় চার-পাঁচ গুণ। আগামী দিনে এসব তৎপরতা আরও বেড়ে যাবে।

তিনি জানান, দায়িত্বে অবহেলা, শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অসদাচরণের কারণে গত মাসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এ অধিদফতরের কর্মকর্তারা নিরস্ত্র হয়েও অস্ত্র উদ্ধার করছেন উল্লেখ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশনস্ ও গোয়েন্দা) সৈয়দ তৌফিকউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত এক বছরে প্রায় ১০টা আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীরা যেহেতু অস্ত্র দিয়ে আত্মরক্ষা করে- এক্ষেত্রে প্রতিনিয়তই একটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়।

অনুমোদিত বারেও বিভিন্ন সময় অভিযান চালানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনুমোদনের বাইরে গিয়ে যদি কেউ মাদক বিক্রি করে বা কোনো বিধিমালা ভঙ্গ করে তবে ত‍াদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের রেলগেইটে অনিয়ন্ত্রিত মাদক স্পট প্রসঙ্গে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক মুকুল জ্যোতি চাকমা বলেন, এই স্পটে প্রতিমাসেই ৩-৪টা অভিযান হয়। এখানে ভ্রাম্যমাণ মানুষ বেশি। মূল হোতারা এখানে থাকে না। তাই মাদক ব্যবসায়ীদের ধরে নিয়ে এলে মূল হোতারা আবার নতুন লোক রিক্রুট করে ব্যবসা চালু করে। জায়গাটা আসলেই অনেক পীড়াদায়ক।

জেনেভা ক্যাম্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জেনেভা ক্যাম্পে পুলিশ-ৠাব নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। প্রথম অভিযানটা কিন্তু আমরাই করেছিলাম। সে এলাকা সিসিটিভির আওতায় আনাসহ অসংখ্য মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সে এলাকায় মাদক বন্ধ হয়ে যায়নি, তবে আগের অবস্থা নেই। অভিযান অব্যাহত আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৭/ আপডেট: ১৫১৫ঘণ্টা,
পিএম/এএটি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad