ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খুমেকে সিট না পেয়ে ভোগান্তি, আসন বাড়ানোর দাবি

উত্তম ঘোষ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
খুমেকে সিট না পেয়ে ভোগান্তি, আসন বাড়ানোর দাবি খুমেকে সিট না পেয়ে ভোগান্তি

খুমেক থেকে: বসত বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার জয়খালীর ফরিদা বেগম (৫০)। 

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গুরুতর অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (খুমেক)। কিন্তু তার স্থান হয়েছে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের বারান্দার এক কোণার ফ্লোরে।

ফ্যানহীন সেই ফ্লোরে ভ্যাপসা গরম। এজন্য ফরিদা আরও যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন, হাতপাখার বাতাস দিয়েও কাজে আসছে না।  

শুধু ফরিদা বেগম নন, খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার নগরঘাট গ্রামের মিম্মা (২৩), খুলনা নগরীর শেখপাড়ার ডলি (৫০), একই এলাকার কেয়া (২২), ডিকে মেইনরোড এলাকার পুষ্পিতাসহ (১৬) অন্তত তিন শতাধিক রোগী খুমেকের প্রতিটি ওয়ার্ডের ফ্লোরজুড়েই রয়েছে। রাত যতো বাড়ছে রোগীও ততো বাড়ছে। তবে নতুন কোনো রোগীকে শয্যা (সিট) দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে রোগীরা বিছানা পেতে নিয়েছেন হাসপাতালের বারান্দায়।  

সংশ্লিষ্টরা বাংলানিউজকে জানান, বিভাগীয় শহর খুলনার গুরুত্বপূর্ণ একটি সরকারি চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র এই খুমেক। যেখানে ৫শ আসনের বিপরীতে গড়ে প্রতিদিন আট শতাধিক রোগী ভর্তি থাকে। ফলে অনেক মুমূর্ষু রোগীকে রাখতে হয় বেডের নিচে। এজন্য তারা নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হন।  

সরকারের কাছে ভুক্তভোগীরা খুমেকের আসন বাড়ানোর দাবি জানান।  

খুমেকের বারান্দায় চিকিৎসাধীন একাধিক রোগীর স্বজনেরা বাংলানিজকে বলেন, হাসপাতালে আসা মানেই মরণ যন্ত্রণায় পড়া, এমন অবস্থা।  

তাদের প্রশ্ন, একজন রোগীর শেষ ভরসা হাসপাতালে এনেও যদি পদে-পদে ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাহলে আমরা যাবো কোথায়? 

তারা বলেন, হাসপাতালে আসা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ওষুধ কেনা— প্রতিপদেই ভোগান্তি। তবে সিট না পেলে দুর্বিষহ অবস্থায় সেবা নিতে হয়। অবিলম্বে সিট বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাই।  

খুমেকের ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. আরিফ বাংলানিউজকে বলেন, নানাবিধ সংকটের মধ্য দিয়েও আমরা ভালো সেবা দেওয়ার জন্য আন্তরিক। কখনও-কখনও একটানা ৩০ ঘণ্টাও দায়িত্ব পালন করে থাকি। তবে ৫শ শয্যার এই হাসপাতালে আট শতাধিক রোগী থাকায় ওষুধ, অক্সিজেন, বেড সংকট রয়েছে। এজন্য রোগীর স্বজনরাও দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সদের ভুল বোঝেন। ফলে ভালো সেবা দিয়েও দুর্নামের ভাগিদার চিকিৎসকরা।

লোগো

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
ইউজি/এসএনএস

আরও পড়ুন
** দালালদের নিয়ন্ত্রণে রাতের খুমেক!​
** রাতের খুমেকের ‘কন্ট্রাক্ট সার্ভিস’ প্রতারণা! 

** জীবনচক্র তাদের আহ্নিক গতির পাল্টাসূত্রে​
** আলোকচিত্রে রাতের খুলনা
** কদমতলা বাজারে রাতের কর্মযজ্ঞ যোগায় দিনের খোরাক
** রাতের খুলনার খানাপিনা
** রাতদুপুরে অক্সিজেনই মৃত্যুফাঁদ খুমেকের
** রাত ১০টার পর সন্ধ্যা নামে কুয়েটের হলে!
** ভূতের বাড়ি থেকে ভেসে আসে শীলার হাসি-কান্না!
** রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্ম যখন ঘুমরাজ্য!
** আড্ডা জাগিয়ে রাখে খুলনার সাতরাস্তা মোড়
** চোখ রাখুন খুলনার রাতে
 

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।