ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সিটিং সার্ভিসে ফেরার পাঁয়তারা করছে মালিকরা!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
সিটিং সার্ভিসে ফেরার পাঁয়তারা করছে মালিকরা! ব্যস্ত সময়ে রাজধানীতে পরিবহন শূন্য রাজপথ, ছবিটি ফার্মগেট এলাকা থেকে তোলা; ছবি- বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজধানীতে পরিবহন নৈরাজ্য অবসানে সিটিং সার্ভিস বন্ধে নিজেদের নেওয়া সিদ্ধান্তেই খুশি নয় পরিবহন মালিক পক্ষ। সিদ্ধান্ত কার্যকরের দিন থেকেই রাজধানীতে বাস চলাচলে নানা অরাজকতা সৃষ্টি করে বিষয়টি যেন হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিচ্ছেন তারা। আর এখন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে তারা আবার সিটিং সার্ভিসে ফেরার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।

বুধবার ( ১৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ফার্মগেট, খামারবাড়ি ও বাংলামটর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গত তিন দিন ধরে রাজধানীতে পরিবহন মালিকদের সৃষ্টি করা যে নৈরাজ্য চলছে, তার ব্যতিক্রম ঘটেনি চতুর্থ দিনেও। এই সব এলাকার চারিদিকে গণপরিবহনের সংকটে ভোগান্তির চরম সীমা পার করছেন সাধারণ মানুষ জন।

কেউ কর্মস্থলে যাচ্ছেন হেঁটে, আবার কেউবা যাচ্ছেন সিএনজি বা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে। আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের জন্য অপেক্ষার দুর্ভোগ তো আছেই।

এ বিষয় নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের। যাত্রীদের কয়েক জন বাংলানিউজকে বলেন, প্রথম যখন মালিক পক্ষ সিটিং সার্ভিস বন্ধের ঘোষণা দেয় তখন আমরা অনেক খুশি হয়েছিলাম। এখন মনে হচ্ছে মালিক পক্ষ নাটক সাজিয়ে আমাদের ভোগান্তিতে ফেলে চিরতরে সিটিং সার্ভিসের বিরুদ্ধে যাত্রীদের মুখ বন্ধ করতে চায়। কিন্তু আমাদের যেহেতু ভোগান্তি পোহাতেই হচ্ছে আমরা আর সিটিং সার্ভিস কোনো ভাবেই মেন নেব না।

রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের বাসিন্দা রহিম উদ্দিন খামারবাড়ি মোড়ে মিরপুরগামী বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন।

রহিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সবই বুঝি মালিক পক্ষ কী চাচ্ছে। তারা আবার সিটিং নৈরাজ্যতে ফিরে যাবার চেষ্টা করছেন।   কিন্তু আমরা আর সিটিং সার্ভিস মেনে নেব না। আমরা লোকাল সার্ভিসই চাই।

বাংলামটর এলাকায় বাসের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রী আয়েশা বিনতে ইয়াসমিন বাংলানিউজকে বলেন, সিটিং থেকে লোকালেই সুবিধা বেশি। রাজধানীর যানজটের কারণে সিটিং সার্ভিস ও লোকাল সার্ভিসের বাসগুলো একই সময়েই নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে। সেক্ষত্রে সিটিং সার্ভিসের ভাড়া অনেক বেশি। আর সেই বেশি মুনাফা লাভের আশায় মালিক পক্ষ এই অরাজকতা সৃষ্টি করছে।

সিটিং সার্ভিসে ফিরে যাবার বিষয়টি নিয়ে গণপরিবহন চালকরাও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যে কৌশলেই হোক না কেন মালিক পক্ষ সিটিং সার্ভিসে ফিরে যাবে। আর সিটিং সার্ভিসে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি সহজে ঠিক হবে না। পুনরায় সিটিং সার্ভিসে ফিরে গেলে রাজধানীতে হয়তো আর লোকাল সার্ভিসই থাকবে না।

বিহঙ্গ পরিবহনের চালক হাবীব বাংলানিউজকে বলেন, আমরা তো চাই গাড়ি নিয়ে বের হতে কিন্তু মালিকের বাধার কারণে পারছি না। মালিকরা আমাদের বলছে কয়েক দিন ধৈর্য ধরতে।   কিছু দিন পরেই নাকি আবার সিটিং চালু হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯,২০১৭
এমএ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad