ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাতের খুলনার খানাপিনা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৭
রাতের খুলনার খানাপিনা চলছে খানাপিনা-আড্ডা/ছবি ও ভিডিও: মানজারুল ইসলাম

খুলনা: প্রায়ই সাতরাস্তার মোড়ের শামীমের হোটেলে রাতের খাবার খেতে আসেন নাজমুল। আজ খাচ্ছেন নানরুটি দিয়ে গরুর কলিজা। এখানে কেন আসেন জানতে চাইলে বলেন, সব হোটেলে গরুর কলিজা পাওয়া যায় না। এখানে দামও কম, রান্নাও ভালো। তাই যখনই খেতে ইচ্ছা করে চলে আসি।

এক হোটেলে পাওয়া যায়, এক হোটেলে যায় না, এক হোটেলের স্পেশালিটি অমুক পদ- এমন অনেক কথাই শোনা ‍যাবে খুলনার খাদ্য-খানা নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করলে। রাতের খুলনার খাবারের বৈচিত্র্যও কম নয়।



চলছে খানাপিনা-আড্ডা/ছবি: মানজারুল ইসলামখুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে যেতেই কেওড়া ক্যাফে অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট থেকে নাকে ভেসে আসে মাছ ভাজার ঘ্রাণ। ভিতরে প্রবেশ করে দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র। মাছ ভাজি নয়, চলছে ফিশ বারবি কিউ।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ-এর ছাত্র আজাদ বলেন, এখানে বাইরে ছাতার নিচে রাতের ফিশ বারবি কিউ খেতে খেতে আড্ডা দেওয়ার মজাই আলাদা। তাই বন্ধুদের নিয়ে এসেছি।
কেওড়া ক্যাফে অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক শরিফুল ইসলাম হিরণ বাংলানিউজকে বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আমাদের রেস্টুরেন্ট হওয়ার কারণে মধ্য রাত পর্যন্ত খোলা রাখি।
চলছে খানাপিনা-আড্ডা/ছবি: মানজারুল ইসলাম
রাতে কোন খাবার বেশি চলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাতের স্পেশাল ফিশ বারবি কিউ। বাজারের সবচেয়ে বড় মাছ দিয়ে আমরাই ফিশ বারবি কিউ করে থাকি। মজাদার ফিশ বারবি কিউ খেতে সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ভিড় জমে।

লোভনীয় মাছের পদ/ছবি: মানজারুল ইসলামএছাড়া রাতে স্টার সিনেমা হলের সামনে ও ফেরিঘাটে স্পেশাল নেহারি তৈরি করে বেশ কয়েকটি হোটেল। ভিড়ও জমে কম না সেখানে।

যে কয়টি খাবার হোটেল রাতভর খোলা থাকে:
দেশের তৃতীয় বৃহৎ মহানগরী খুলনা শহরে বেশ কিছু খাবার হোটেল রাতভর খোলা থাকে। সেগুলো হচ্ছে- নতুন বাজার লঞ্চ ঘাট এলাকার খলিলের বরিশাল হোটেল, রূপসা পুলিশ ফাঁড়ির পাশে লিটনের রূপসা হোটেল, খুলনা রেল স্টেশন এলাকায় মুসলিম হোটেল, সাগর হোটেল, মুন্না হোটেল, মান্নানের হোটেল, টিটুর হোটেল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে বয়রা হোটেল ও জিরো পয়েন্ট এলাকায় বেশ কিছু হোটেল।

রাতের খুলনায় হোটেল/ছবি: মানজারুল ইসলামসরেজমিনে সমগ্র মহানগরী ঘুরে ও খোঁজ-খবর নিয়ে এসব হোটেলের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নামিদামি প্রায় অর্ধশত হোটেল রেস্টুরেন্টে চায়নিজসহ প্রায় সব ধরনের খাবার মেলে। এমন হোটেলের মধ্যে রয়েছে- রয়্যাল, ক্যাসল সালাম, সিটি ইন, ওয়েস্টার্ন ইন, কেওড়া, কান্ট্রি লাউঞ্জ, আব্বাস হোটেল, শামীম হোটেল, হোটেল কদর, সুগন্ধা, আপ্যায়ন, কস্তুরি, অতিথি হোটেল।

এছাড়া অভিজাত হোটেল রয়্যালের রাতের স্পেশাল ফালুদা, বিরিয়ানির স্বাদই আলাদা। ক্যাসল সালামের সরমাও অতুলনীয়। ময়লা পোতার মোড়ে আজমিরি গ্রিল অ্যান্ড বারবি কিউ এর চিকেন গ্রিল, কাবাব, নান, মোগলাই ও চাপ ভুনা খেতে সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোজনবিলাসীদের ভিড় লেগে থাকে।
লোগো
বাংলাদেশ সময়: ০৪০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
এমআরএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।