ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বেনাপোল স্থলবন্দরে হয়রানি বন্ধের নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৭
বেনাপোল স্থলবন্দরে হয়রানি বন্ধের নির্দেশ বেনাপোল কাস্টসম-ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পরিদর্শনে ড. মইনুল খান

বেনাপোল (যশোর): বেনাপোল স্থলবন্দরে সেবার মান বাড়িয়ে যাত্রী হয়রানি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।

তিনি বলেন, বেনাপোল স্থল পথে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াতে অনেক হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। বেনাপোল দেশের অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক  স্থলবন্দর।

এ পথে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, চিকিৎসা ও গুরুত্বপূর্ণ কাজে মানুষ যাতায়াত করেন। তাই কোনভাবে এখানে যাত্রী হয়রানি করা যাবে না। সেবার মান বাড়িয়ে সবাইকে আন্তরিক হয়ে কাজ করতে হবে।

বুধবার (২৯ মার্চ) বিকেলে বেনাপোল চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ভবন পরিদর্শনে এসে সংবাদকর্মীদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন ড. মঈনুল খান।

এ সময় তিনি আরও বলেন, এখন থেকে চেকপোস্টে অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা হবে। কোন যাত্রী যদি কোনো সংস্থার লোকজন দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত অথবা হয়রানির শিকার হন তবে  তারা লিখিত অভিযোগ ব‍াক্সে ফেলবেন। আমরা অভিযোগের সত্যতা পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।

এ ব্যাপারে সংবাদকর্মীদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করারও আহ্বান জানান শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

এর আগে তিনি বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যিক কার্যক্রম ঘুরে দেখেন এবং সুষ্ঠুভাবে বাণিজ্য পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বাণিজ্যের সুবিধার্থে বেনাপোল বন্দরে প্রাইভেট ওয়ারহাউজ স্থাপন নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন মঈনুল খান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. শত্তকাত হোসেন, সহকারী কমিশনার আলী রেজা হায়দার, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের বেনাপোলের সহকারী পরিচালক গোলাম রসুল মিয়া, সহকারী গোয়েন্দা অফিসার মোতালেব হোসেন, বেনাপোল ইমগ্রেশনের ভাপপ্রাপ্ত  র্কমর্কতা উপপরির্দশক ফজলুর রহমান, ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট চেম্বার কমার্সের সাব কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, সাবেক সভাপতি শামছুর রহমান, সহসভাপতি খায়রুজ্জামান মধু, সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা, যুগ্ম সম্পাদক জামাল হোসেন ও  কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক নাসির হোসেন।

এদিকে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ভবনে ইদানিং মারাত্মকভাবে যাত্রী হয়রানি বেড়েছে। অসহায় যাত্রীদের ফাঁদে ফেলে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় করছেন ইমিগ্রেশন পুলিশ। একইভাবে কাস্টমস সদস্যরাও সামান্য কেনা-কাটা করা যাত্রীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক অর্থ আদায় করেন। ইমিগ্রেশনের উপ-পরিদর্শক মোর্শেদ, হোসেন আলী ও কাস্টমসের ইনেসপেক্টর মিজানুর রহমানে নাম এসব অভিযোগে উঠে আসছে।

কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পরির্দশনে বেনাপোল বন্দরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশা প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।

বাংলাদেশ সময়: ০৬২৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৭
এজেডএইচ/এমসি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ