বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য তার ডিএনএ টেস্টের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য মূসার মা, ভাই ও বোনকে তাদের বাড়ি বাগমারা থেকে সিলেটে নেওয়া হচ্ছে।
বিষয়টি সরাসরি স্বীকার করতে চাননি রাজশাহী জেলা পুলিশে ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা। কিন্তু সূত্রগুলো বলছে, যে কোনো সময় তাদের ঢাকা হয়ে সিলেট নেওয়া হবে। সেখানে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে জঙ্গি মূসার ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হবে।
এ উদ্দেশে বুধবার (২৯ মার্চ) রাতে মূসার মা সুফিয়া বেগম, ভাই আবদুল খালেক ওরফে খায়রুল ও বোন কামরুন নাহার বেগমকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
তবে পরিবারের সদস্যদের নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজশাহী পুলিশ সুপার (এসপি) মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞা সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি সরাসরি স্বীকার করেননি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সিলেটে নিহত জঙ্গি মূসা কিনা সেই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য তার পরিবারের সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গ তুললেও এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাননি রাজশাহী পুলিশ সুপার।
এদিকে, রাজশাহীর বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন-বাগমারা উপজেলার গণিপুর ইউনিয়েনের বজ্রকোলা গ্রাম থেকে সন্ধ্যার পর মূসার মা, ভাই ও বোনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তিনিও শুনেছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন ইউনিট নিয়ে গেছে, কোথায় নিয়ে গেছে তা জানা নেই। সকাল হলে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলে বিস্তারিত বলবেন বলেও জানান বাগমারা থানার ওসি।
এরআগে মুসার মা সুফিয়া বেগম জানিয়েছিলেন, ৮ মাস আগে মূসা বাড়ি গিয়েছিলেন। ওই সময় মূসা সৌদি আরব যাবেন বলে তিন লাখ টাকার জমিও বিক্রি করেন। পরে বাড়ি থেকে চলে যান।
এরপর তিনি আর বাড়ির সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখেননি। তবে মূসা সর্বশেষ গ্রামে যাওয়ার সময় ওই বাড়িতে থাকা তার ছবিসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়িয়ে ফেলে গেছেন বলেন জানান বৃদ্ধা মা সুফিয়া বেগম।
প্রসঙ্গত, আতিয়া মহলে নিহত চার জঙ্গির মধ্যে জেএমবির শীর্ষ নেতা মাঈনুল ইসলাম ওরফে মূসা রয়েছেন বলে ধরাণা করা হচ্ছে। কারণ নিহত চার জঙ্গির একজনের চেহারার সঙ্গে মূসার চেহারার মিল রয়েছে। এছাড়া তারা প্যারা কমান্ডোদের সঙ্গে লড়ার দক্ষতা, প্রতিরোধের কৌশল, লড়াকু মনোভাব দেখে ধারণা করা হচ্ছে জঙ্গিদের মধ্যে একজন মূসা। তবে ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৭/ আপডেট: ২২০৫ ঘণ্টা
এসএস/টিআই