ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শান্ত-শ্যামল গ্রামেও জঙ্গি আস্তানা!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৭
শান্ত-শ্যামল গ্রামেও জঙ্গি আস্তানা! গ্রামের মানুষের বিশ্বাসই হচ্ছে না যেন, এই গ্রামে জঙ্গিদের আস্তানা! ছবি: আবু বকর

নাসিরপুর, মৌলভীবাজার থেকে: শুধু জেলা শহর বা উপজেলা অথবা শহরের উপকণ্ঠ নয়, এবার নাসিরপুরের মতো শান্ত-শ্যামল গ্রামেও ঘাঁটি পাওয়া গেলো জঙ্গিদের।

বুধবার (২৯ মার্চ) সকাল থেকেই সিলেট, মৌলভীবাজারে বৃষ্টি। কখনো ভারি বৃষ্টি, কখনো হালকা।
সিলেট সড়ক থেকে হাতের পূর্বপার্শ্বেই নাসিরপুর। ১ নং খলিলপুর ইউনিয়ন কমপ্লেক্স পেরিয়ে সোজা ঢুকলেই সবুজ গ্রাম নাসিরপুর। ঢাকা-সিলেট রেললাইনের ধারে সবুজ মাঠ। সেখানে বিকেলে খেলা করে শিশু-কিশোরের দল। এলাকার উদ্যমী যুবকরা গ্রামটিকে মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে নাম দিয়েছেন নাসিরপুর হাউজিং কমপ্লেক্স। এ গ্রামের বাসিন্দা আনিস বাংলানিউজকে বলেন, এই গ্রামে অনেক লন্ডনীর বাড়ি রয়েছে। একটি দোতলা এবং অন্য সবগুলোই একতলা বাড়ি। অনেক বাড়ি খালি থাকে আবার অনেক বাড়িতেই কেয়ারটেকার থাকে। তিনি বলেন, সবসময় বাড়ির মালিকরা ভাড়া দেন না। কিন্তু কেয়ারটেকাররা ভাড়া দিয়ে দেন। এই গ্রামটিকে সবুজ বলতেই হবে। নারিকেল, সুপারি, সৃষ্টি গাছ, কড়ই গাছের দেখা মেলে। বাগানের ভেতর থেকে পাখি শিস দেয়। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দিনগত রাতে এখানে সন্ধান পাওয়া জঙ্গি আস্তানা বাগানবাড়ির পশ্চিমে প্রায় দেড়শ’ মিটার দূরে একটি বাড়ি। সে বাড়ির বাসিন্দা শিবলী বাংলানিউজকে বলেন, এরকম গ্রামে যে জঙ্গিরা আস্তানা গাড়বে, সেটা ভাবাও যায় না। তবে এই গ্রাম আশপাশের যে কোনো গ্রাম থেকে উন্নত। এখানে বিদ্যুৎ রয়েছে। পাকা সড়কও রয়েছে বেশ ভাল। তিনি বলেন, গ্রামে সাধারণত কেউ বাসা ভাড়া নেয় না বা দেয়ও না। তবে সাইফুলের এখানে শুনেছি মাস দুয়েক আগে একটি পরিবারকে বাসা ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তবে ভাড়াটিয়াদের কখনোই দেখিনি। এখানে যে ভাড়াটিয়া থাকে অনেকেই জানতেন না। গ্রামের নীতি-নির্ধারক শ্রেণীর ব্যক্তি শেখ নাজমুল ইসলাম। এ গ্রামে মাদ্রাসা, স্কুলসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে তার পরিবার। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, নাসিমপুরে এ ধরনের ঘটনা হবে আমরা কল্পনাও করতে পারি না। এখানে স্কুল, মাদ্রাসার শিক্ষকরাও বিভিন্ন বাড়িতে ভাড়া থাকেন। এই সংখ্যা ৫ জনের মতো হবে। তবে অনেকদিন থাকার পর এই পরিবারগুলোর সঙ্গে স্থানীয়দের পরিচয় হয়ে যায়। তবে সাইফুলের বাড়িতে ভাড়াটিয়ার কথা অনেকেই জানে না, আজ জানলো। আর প্রবাসীদের বাড়ি সম্পর্কে মানুষ ভাবে, সেখানে হয়তো কেউ নেই, খোঁজ নিয়ে কী হবে! তিনি বলেন, আগে ভাবতাম গ্রামে এসব হবে না। জঙ্গি-সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শহরে হয়। এখন দেখি গ্রামেও আস্তানা। বিশেষ করে এমন একটি শান্ত গ্রামে। নাসিরপুরবাসী হতবাক হলেও এ শান্ত গ্রামেই গড়ে উঠলো জঙ্গি আস্তানা। সেই আস্তানায় থাকা জঙ্গিদের পাকড়াও করতে নাসিরপুরে ঢুকলো পুলিশ থেকে শুরু করে ৠাব, সোয়াট ও বোমা নিস্ক্রিয়কারী দল। বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৭ এমএন/এইচএ/
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad