ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জামিন পেয়েও পুলিশের মুখোমুখি হতে ভয় ‘জেনভায়ো’র এমডির!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৭
জামিন পেয়েও পুলিশের মুখোমুখি হতে ভয় ‘জেনভায়ো’র এমডির! জামিন পেয়েও পুলিশের মুখোমুখি হতে ভয় ‘জেনভায়ো’র এমডিরI ছবি: অনিক খান

ময়মনসিংহ: আদালতের জামিন পেয়েও পুলিশের মুখোমুখি হবার সাহস হয়নি তার। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে তিনি চলে গেছেন ঢাকায়। তবে এর আগে জামিননামাটি কোম্পানির কর্মচারীদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে গেছেন।

তিনি জেনভায়ো নামের একটি ওষুধ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল আলম। ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের ত্রিশালের বাগান এলাকায় ডিভাইডার ভেঙে ফেঁসে যান মামলায়।

জামিন পেয়েও কেন তিনি এলাকা ছাড়লেন—এ নিয়ে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকেলে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে সরব আলেঅচনা ও কৌতূহল ছিল তুঙ্গে।

‘কোটিপতি’ আশরাফুল আলমের ডিভাইডার ভাঙার মামলার তদন্ত কাজ এগিয়ে চলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের পাশেই ত্রিশালের বাগান এলাকায় জেনভায়ো নামের ওষুধ ফ্যাক্টরির নির্মাণকাজ শুরু করেন আশরাফুল আলম। কোম্পানির মালামাল আনা নেয়ার কাজে ব্যবহৃত ট্রাকের দ্রুত প্রবেশের জন্য তিনি মহাসড়কের ডিভাইডার ভেঙে ফেলেন। এরপর সেখানে একটি সড়ক দুর্ঘটনার পর ভাঙা ডিভাইডারের স্থানটিতে দিয়ে বসেন বাঁশের বেড়া। এনিয়ে বাংলানিউজে ‘ত্রিশালে সড়কের ডিভাইডার ভেঙেছে জেনভায়ো, সেখানে বাঁশের বেড়া’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়। খবরটি নজরে আসে সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের। এই অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কড়া নির্দেশ দেন তিনি। এরপরই ঢিলেমি ছেড়ে নড়েচড়ে বসেন স্থানীয় সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) শীর্ষ কর্মকর্তারা।

চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে জেনভায়ো’র এমডি আশরাফুল আলমকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন সওজের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম। একই সঙ্গে পুন:স্থাপন করা হয় ভাঙা ডিভাইডার। কিন্তু আসামিকে ধরতে গড়িমসি শুরু করে পুলিশ।

এ নিয়ে গত সোমবার (২৭ মার্চ) ‘ত্রিশালে ডিভাইডার ভাঙায় মামলা হলেও চুপ পুলিশ’ শিরোনামে আরেকটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এরপর হার্ডলাইনে যান জেলা-পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা। আসামিকে দ্রুত পাকড়াও করতে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) নূরে আলম ত্রিশাল থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেন। এ নির্দেশনার পর সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকেলে জেনভায়ো কোম্পানিতে রেইড দেয় পুলিশ। কিন্তু তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি। পুলিশ সদস্যদের জামিননামার কাগজ হাতে ধরিয়ে দেন জেনভায়ো’র কর্মচারীরা। পুলিশকে জানানো হয়, জামিন নিয়ে ঢাকায় চলে গেছেন মালিক আশরাফুল আলম।

সূত্র মতে, মহাসড়কের ডিভাইডার ভাঙার অপকর্মটি আশরাফুল আলম সম্পাদন করেছিলেন তারই কথিত পার্টনার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলামের মাধ্যমে। ডিভাইডার ভাঙার অভিযোগ থেকে নিজের নাম আড়াল করতে বিভিন্ন মহলে ধর্না দিচ্ছেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান।

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির বাংলানিউজকে বলেন, জেনভায়োর মালিক আশরাফুল আলম ময়মনসিংহের ৩নং আমলী আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। তবে তার বিরুদ্ধে তদন্তকাজ অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৭
এমএএএম/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ